ফাইল ছবি
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে ইউক্রেন ও ইউরোপের অন্য দেশকে কার্যতই পাত্তা দিচ্ছেন না ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি সম্প্রতি ফোন করেছিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে। এবং তাঁর দাবি, তাঁরা দুজনই সহমত যুদ্ধ থামানোর বিষয়ে। ট্রাম্পের এহেন আচরণে অস্বস্তিতে ইউরোপ। এহেন পরিস্থিতিতে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টার্মার জানিয়ে দিলেন, যদি প্রয়োজন পড়ে তিনি ইউক্রেনের সাহায্যার্থে সেনাও পাঠাতে পারেন সেখানে।
ঠিক কী বলেছেন তিনি? এই মুহূর্তটিকে ‘এক প্রজন্মে একবারই আসে’ এমন মুহূর্ত হিসেবে বর্ণনা করে তিনি জানিয়েছেন, ”প্রয়োজন পড়লে আমাদের সেনা ইউক্রেনে পাঠানো হতে পারে। ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা নিশ্চিত করতে, আমাদের মহাদেশকে বাঁচাতে এবং অবশ্যই ব্রিটেনকে রক্ষা করতেই যে কোনওপদক্ষেপ করতে পারি।” স্টার্মারের এমন মন্তব্যকে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। আসলে মনে করা হচ্ছে, ট্রাম্পের এমন ঘোষণার জন্য কেবল তিনিই নন, ইউরোপের অন্য দেশের নেতারাও প্রস্তুত ছিলেন না।
২০২২ সালে ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ব্রিটেনের সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্ক তলানিতে এসে ঠেকেছে। গত বছরের শেষদিকে ইউক্রেনের উপর থেকে বিধিনিষেধ তুলে নিয়েছিল ব্রিটেন। যার অর্থ রাশিয়ার বিরুদ্ধে স্ট্রম স্যাডো মিসাইল ব্যবহার করতে পারবে ইউক্রেন। এবার ইউক্রেনে সেনা পাঠানোর কথা বলে চাপ আরও বাড়াল ব্রিটিশরা।
আর এক সপ্তাহ পরে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের তৃতীয় বর্ষপূর্তি। এই পরিস্থিতিতে প্যারিসে বৈঠক করার কথা ব্রিটেন, জার্মানি, পোল্যান্ড, ইটালি, স্পেন, নেদারল্যান্ডস ও ডেনমার্কের। ওই বৈঠকে থাকবেন ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রধান অ্যান্টনিও কোস্টা, ন্যাটোর সাধারণ সম্পাদক মার্ক রুটও। জানা গিয়েছে, ইউক্রেন সর্বোপরি ইউরোপের প্রতিরক্ষা রক্ষা করা নিয়েই বৈঠকে আলোচনা হবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.