Advertisement
Advertisement

Breaking News

Myanmar

মায়ানমারে সেনা অভ্যুত্থান নিয়ে জরুরি বৈঠকে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ

দেশটিতে গণতন্ত্র রক্ষায় আসরে নেমেছে রাষ্ট্রসংঘ।

UN Security Council to hold emergency meet over Myanmar coup | Sangbad Pratidin
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:February 2, 2021 8:39 am
  • Updated:February 2, 2021 11:45 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘মেকি’ গণতন্ত্রের এক দশক না কাটতেই ফের মায়ানমারের দখল নিয়েছে সর্বশক্তিমান ‘জুন্টা’। সামরিক বাহিনীর হাতে বন্দি নোবেলজয়ী রাষ্ট্রপ্রধান আং সান সু কি (Aung San Suu Kyi)। এহেন পরিস্থিতিতে এবার দেশটিতে গণতন্ত্র রক্ষায় আসরে নেমেছে রাষ্ট্রসংঘ।

[আরও পড়ুন: নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের জামাই]

জানা গিয়েছে, মায়ানমার নিয়ে মঙ্গলবার জরুরি বৈঠকে বসতে চলেছ রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। পাহাড়ি দেশটিতে সেনা অভ্যুত্থানের ঘটনাকে গণতন্ত্রের উপর ‘ভীষণ আঘাত’ বলে মন্তব্য করেছেন রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস (António Guterres)। রাষ্ট্রসংঘে ব্রিটেনের দূত বারবারা উডওয়ার্ড সাফ জানিয়েছেন, গত নভেম্বর মাসে মায়ানমারে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের ফলাফলকে বৈধ হিসেবে গণ্য করা হবে। নেত্রী সু কি’র দ্রুত মুক্তির জন্য চেষ্টা করবে লন্ডন। রাষ্ট্রসংঘের প্রতিনিধি স্তেফানি দুজারিক জানিয়েছেন, ফোন ও ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধই থাকায় মায়ানমারের রাজধানী নাইপিদাওয়ে থাকা অধিকারিকদের কোনও যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। এই অভ্যুত্থানের ফলে রাখাইন প্রদেশে থাকা রোহিঙ্গাদের জীবন আরও কঠিন হয়ে উঠবে।

Advertisement

উল্লেখ্য, গতকাল অর্থাৎ সোমবার মায়ানমারের শাসকদল ‘ন্যাশনাল লিগ অফ ডেমোক্র্যাটিক পার্টি’র মুখপাত্র মায়ও নায়ান্ট জানান আচমকা কউন্সিলর সু কি, প্রেসিডেন্ট উইন মিন্ট ও অন্য নেতাদের আটক করে সেনাবাহিনী। উল্লেখ্য, গত বছর বিরোধীদের পরাজিত করে ক্ষমতায় ফিরছে আং সান সু কি’র (Aung San Suu Kyi) দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (NLD)। মায়ানমার সংসদের নিন্মকক্ষের ৪২৫টি আসনের মধ্যে ৩৪৬টিতে জয়ী হয় তারা। কিন্তু, রোহিঙ্গা ইস্যু থেকে শুরু করে একাধিক বিষয়ে বিগত দিনে সেনাবাহিনীর সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয়েছে সু কি সরকারের। নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগও করেছে ‘জুন্টা’ (বার্মিজ সেনাবাহিনী)।

Advertisement

বলে রাখা ভাল, ২০০৮ সালে সামরিক নজরদারিতে যে সংবিধান তৈরি হয়েছে, সেখানে পার্লামেন্টে কোনও বড় আইন রুখে দেওয়ার মতো আসন সেনাবাহিনীকে দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রকগুলিও সেনার হাতে রয়েছে। ফলে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হলেও, গণতান্ত্রিক শাসন এখনও প্রতিষ্ঠা হয়নি সে দেশে।

[আরও পড়ুন: মায়ানমারের সেনা অভ্যুত্থানে উদ্বিগ্ন ভারত, আমেরিকা! গণতন্ত্র বহাল রাখার বার্তা]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ