Advertisement
Advertisement

বন্দুকের নলের সামনে সিরিয়ার শৈশব, ‘গৃহযুদ্ধ’ নিয়ে প্রশ্ন গোটা বিশ্বে

রাশিয়া-আমেরিকার দ্বন্দ্বে প্রাণ যাচ্ছে উলুখাগড়ার?

US and Russia responsible for Ghouta attack in Syria
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:February 27, 2018 1:43 pm
  • Updated:September 17, 2019 11:30 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কি মৃত্যু হল মানবতার? সন্ত্রাসবাদী তকমা এঁটে দেওয়ার অধিকার কার? রক্তস্নাত সিরিয়া উসকে দিয়েছে এমন প্রশ্নই। ফেব্রুয়ারি ১৮ থেকেই বিদ্রোহীদের উপর আসাদ বাহিনীর নারকীয় হামলা ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। রাসায়নিক অস্ত্রের প্রয়োগ করছে সরকারি বাহিনী। একাধিক হামলায় এখনও পর্যন্ত ১৫০ শিশু-সহ মৃত্যু হয়েছে প্রায় ৫০০ নিরীহ মানুষের। হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছেন আরও কয়েকহাজার।

সাম্প্রতিক হামলা থকে সিরিয়ায় চলা এক ভয়ানক দাবার খেল প্রকাশ্যে এসেছে। সন্ত্রাসবাদ তার একটি ঘুঁটি মাত্র। তা কী সেই  মারণ সমীকরণ?

Advertisement

আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেটের বিরুদ্ধে লড়াই চালাচ্ছে সিরিয়ার আসাদ সরকার, সঙ্গে রয়েছে রাশিয়া ও ইরান। একই সঙ্গে আইএস জঙ্গিদের বিরুদ্ধে সিরিয়াতেই চলছে মার্কিন হানা। পাশাপাশি আইএস জঙ্গিদের নিকেশ করছে ‘এসডিএফ’ বা ‘সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্সেস’। এই ‘এসডিএফ’কে সমর্থন দিচ্ছে আমেরিকা ও ইজরায়েল-সহ একাধিক ন্যাটো দেশ। এদিকে প্রেসিডেন্ট বাশার-আল-আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করতে বদ্ধপরিকর ‘এসডিএফ’। এই হল প্রেক্ষাপট। এতদিন ইসলামিক স্টেট জঙ্গিদের নিকেষ করতেই দুপক্ষ ব্যস্ত ছিল। তবে আইএস-এর পতন নিশ্চিত হতেই ফের পুরনো সমীকরণে ফিরে গিয়েছে আসাদ-আমেরিকা-রাশিয়া। ‘এসডিএফ’কে কাজে লাগিয়ে আসাদকে গদি থেকে সরাতে চাইছে ওয়াশিংটন। একইভাবে আসাদকে কাজে লাগিয়ে সিরিয়ায় দখল বজায় রাখতে চাইছে মস্কো। ফলে সিরিয়ার নাগরিকদের পরিস্থিতি কার্যত রাজায়-রাজায় যুদ্ধ হয়, উলু খাগড়ার প্রাণ যায়।

Advertisement

[এফ-১৬ নামানোর জবাব, সিরিয়াতে মিসাইল হামলা ইজরায়েলের]

গত সপ্তাহে বিদ্রোহীদের দখলে থাকা রাজধানী দামাস্কাসের পার্শ্ববর্তী পূর্ব ঘাউটা শহরে আসাদ বাহিনীর হামলায় প্রায় ১৫০ নিরীহ শিশু মারা যায়। এই ঘটনার পরও সরাসরি আসাদ সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করতে পারছে না আমেরিকা। কারণ তা করতে হলে কার্যত লড়তে হবে রাশিয়ার সঙ্গেই। একই কারণে আমেরিকার সমর্থন প্রাপ্ত ‘এসডিএফ’-এর উপর সরাসরি হামলা চালাচ্ছে না রাশিয়া। তাই শেষমেষ অস্ত্র সরবরাহ করেই যুদ্ধের পরিণাম নিজের পক্ষে করার চেষ্টা করছে দুই মহাশক্তি। আসাদের হাতে থাকা ভয়ানক রাসায়নিক অস্ত্র যে রাশিয়া সরবরাহ করেছে সে নিয়ে একমত বিশেষজ্ঞরা। একইভাবে ‘এসডিএফ’-এর হাতে থাকা মিসাইলও মার্কিন হস্তক্ষেপের প্রমাণ। ফলে মনের সাধে যুদ্ধে মেতেছে দুই শিবির। এর ফল ভোগ করতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। মোড়কে সিরিয়ায় যুদ্ধ করছে আমেরিকা ও রাশিয়া। যার খেসারত প্রাণ দিয়ে দিতে হচ্ছে নিরীহ শিশুদের।

[আল-নুসরার গুলিতে সিরিয়ায় ধ্বংস রুশ যুদ্ধবিমান, পালটা অভিযানে খতম ৩০ জঙ্গি]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ