Advertisement
Advertisement
Cold war

আমেরিকার সঙ্গে ‘ঠান্ডা লড়াই’ রুখতে চেয়ে বার্তা চিনা রাষ্ট্রদূতের

দক্ষিণ চিন সাগরে সামরিক পরিকাঠামো গড়ে তুলছে বেজিং।

US, China must say categorical no to Cold War mentality: Chinese ambassador | Sangbad Pratidin
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:November 23, 2021 9:08 am
  • Updated:November 23, 2021 9:08 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের একবার খাদের কিনারে চিন-মার্কিন সম্পর্ক। বাণিজ্য থেকে সামরিক ক্ষেত্রে ওয়াশিংটন-বেজিং সম্পর্কটা মোটেই ভাল যাচ্ছে না। দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কে নতুন করে উত্তেজনা মাথাচাড়া দিচ্ছে যা রাশিয়া-আমেরিকা ‘ঠান্ডা লড়াই’য়ের কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে। এহেন পরিস্থিতিতে ‘শান্তির বার্তা’ দিয়েছেন আমেরিকায় নিযুক্ত চিনা রাষ্ট্রদূত কিন গ্যাং।

[আরও পড়ুন: গণতন্ত্র রক্ষা নিয়ে আলোচনা আমেরিকায়, আমন্ত্রিত ভারত-তাইওয়ান, ডাক পেল না চিন-রাশিয়া]

দক্ষিণ চিন সাগর থেকে শুরু করে তাইওয়ান ও তালিবান-সহ একাধিক বিষয়ে ক্রমে সংঘাতের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে আমেরিকা ও চিন। তারপরই নভেম্বরের ১৬ তারিখ দুইদেশের মধ্যে উত্তেজনা কমাতে ভারচুয়াল বৈঠকে বসেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও শি জিনপিং। ওই বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে সংঘাত থামাতে নীতিগত সীমারেখা তৈরির প্রস্তাব দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। বেজিং থেকে বাইডেনকে ‘পুরনো বন্ধু’ বলে উষ্ণ সম্বোধন করেন জিনপিং।

Advertisement

সম্প্রতি ব্রুকিংস ইন্সটিটিউশনের এক সম্মেলনে অংশ নিয়েছিলেন চিনের রাষ্ট্রদূত কিন গ্যাং। সেখানেই তিনি বলেন, “তিরিশ বছর হয়ে গেল ঠান্ডা লড়াই শেষ হয়ে গিয়েছে। এখন দু’দেশেরই উচিত ভাবাদর্শগত ভাবে দ্বিপাক্ষিক দ্বন্দ্ব দূরে সরিয়ে রাখা। সময়ের ধারা মেনে আমাদের এখন উচিত বিশ্বের মানুষের জন্য ভাবা এবং শান্তির পৃথিবী তৈরির জন্য একসঙ্গে পথ চলা। দু’দেশই নিজেদের অভ্যন্তরীণ বিষয়গুলি ভাল ভাবেই সামলায়। এ বার তাদের আরও বেশি করে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে দায়িত্বশীল হতে হবে।”

উল্লেখ্য, বিগত কয়েক বছর ধরেই দক্ষিণ চিন সাগরে সামরিক পরিকাঠামো গড়ে তুলছে বেজিং। প্রায় গোটা জলরাশিটাই নিজেদের বলে দাবি করে কমিউনিস্ট দেশটি। তাইওনে দখল করার হুমকিও দিয়েছেন জিনপিং। পালটা, সেখানে আণবিক শক্তি চালিত যুদ্ধবিমানবাহী রণতরী পাঠিয়ে শক্তিপ্রদর্শন করছে আমেরিকা (America)। বিশ্লেষকদের মতে, ‘ড্রাগন’কে রুখতে বদ্ধপরিকর আমেরিকা। কিন্তু তারমাঝেও আলোচনা হয়েছে দুই রাষ্ট্রপ্রধানের। গত সেপ্টেম্বর মাসেও জিনপিংয়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন বাইডেনের। দুই দেশের মধ্যে চলা প্রতিযোগিতা যেন সংঘাতের রূপ না নেয়, সেই বিষয়ে চিনা রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গে আলোচনা করেন তিনি।

[আরও পড়ুন: অবশেষে মুক্তি পেলেন সুদানের প্রধানমন্ত্রী হামদক, তুলে নেওয়া হল গৃহবন্দির নির্দেশ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement