Advertisement
Advertisement
নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল

নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পেশের জের, অমিত শাহকে নিষিদ্ধ করার সুপারিশ মার্কিন কমিশনের

নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল ধর্ম বৈষম্যকে উসকানি দেবে, মত মার্কিন কমিশন।

US commission seeks sanctions against Amit Shah over Citizenship Bill
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:December 10, 2019 1:45 pm
  • Updated:December 10, 2019 3:04 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল নিয়ে এবার দেশের বাইরেও বিরোধিতার মুখে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ। ধর্মীয় বৈষম্য ছড়ানোর অভিযোগে তাঁকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার দাবি জানিয়েছে একটি মার্কিন কমিশন। তাঁদের দাবি, নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলে নাগরিকত্ব পাওয়ার ক্ষেত্রে ধর্মকে মানদণ্ড হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে যা বিপজ্জনক। বিলটি সংসদের দুই কক্ষেই যদি পাশ হয়ে যায়, তাহলে অমিত শাহ-সহ ভারতের শীর্ষনেতাদের মার্কিন মুলুকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার সুপারিশ করেছে ওই মার্কিন কমিশন।


মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ধর্মীয় স্বাধীনতা সংক্রান্ত কমিশন নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল নিয়ে রীতিমতো উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তাঁদের মতে, বিলটি বিপজ্জনক। সোমবার কমিশনের তরফে একটি বিবৃতি জারি করে বলা হয়েছে, “ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ যে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলটি পেশ করেছেন, তাতে নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য ধর্মীয় মানদণ্ড বেঁধে দেওয়া হয়েছে। এতে ইউএসসিআইআরএফ ভীষণ উদ্বিগ্ন। সংসদের দুই কক্ষে বিলটি যদি পাশ হয়ে যায়। তাহলে অমিত শাহ-সহ সে দেশের অগ্রগণ্য নেতাদের উপর নিষেধাজ্ঞা চাপানো উচিত মার্কিন সরকারের।”

Advertisement

USRCISF

Advertisement

ওই মার্কিন কমিশনের তরফে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “নাগরিকত্ব বিল ভারতের সংবিধানের পরিপন্থী। ভারতের সংবিধান ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলের সমানাধিকারের কথা বলে। নাগরিকত্ব বিল অত্যন্ত ভুল মোড়ে এগোচ্ছে।” মার্কিন কমিশনটির ধারনা, নাগরিকত্ব দেওয়ার জন্য মুসলিমদের ধর্মের পরীক্ষা নিচ্ছে ভারত সরকার। এর ফলে কয়েক কোটি মুসলিম নাগরিকত্ব হারাতে পারে।

[আরও পড়ুন: CAB নিয়ে উত্তাল অসম, পিছিয়ে দেওয়া হল গুয়াহাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা]


উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে ভাল সম্পর্ক থাকা সত্ত্বেও একাধিক ইস্যুতে পাকিস্তানের পক্ষে কথা বলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এমনকী, ভারতের তীব্র আপত্তি থাকা সত্ত্বেও বেশ কয়েকবার পাকিস্তানের সঙ্গে মধ্যস্থতার প্রস্তাব দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। স্বাভাবিকভাবেই ইউএসসিআইআরএফের এই রিপোর্টকে একেবারেই অবহেলা করা যায় না। কারণ, মার্কিন প্রশাসন এই কমিশনের রিপোর্টকে বেশ গুরুত্ব দেয়। এই কমিশনের রিপোর্টের উপর নির্ভর করেই কোনও নাগরিককে নিষিদ্ধ করা যায় কিনা, তা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয় আমেরিকা।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ