সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কোপে পড়ে পদ খোয়ালেন ‘ফেডারেল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন’ (এফবিআই) প্রধান জেমস কমি। আকস্মিকভাবে তাঁকে পদ থেকে সরানোর আদেশ দেন ট্রাম্প। এক বিবৃতিতে হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি সন স্পাইসার জানিয়েছেন, অ্যাটর্নি জেনারেল জেফ সেশনস ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল রড রসেনস্টাইনের সুপারিশের উপর ভিত্তি করে ট্রাম্প এফবিআই প্রধানকে পদ থেকে বিতাড়িত করেছেন।
[‘ইতিহাস সংরক্ষণ করতে না পারলে, দেশরক্ষাও হয় না’]
এই পদক্ষেপে মার্কিন রাজনীতিতে শুরু হয়েছে প্রবল চাপানউতোর। বিরোধী ডেমোক্রেটিক পার্টির তরফ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে যে নির্বাচন প্রচারে ট্রাম্প ও রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের তথাকথিত যোগাযোগের তদন্ত করছিলেন কমি। এই তদন্তের জেরেই সরতে হল তাঁকে। এছাড়াও ডেমোক্র্যাট নেত্রী হিলারি ক্লিন্টনের ই-মেল ফাঁস হওয়া নিয়ে মার্কিন কংগ্রেসে ভুল তথ্য তুলে ধরেছেন বলেও কমির বিরুদ্ধে অভিযোগ।
জানা গিয়েছে, টেলিভশনে নিজের পদ খোয়ানোর খবর দেখতে পেয়ে প্রথমে হেসে উঠেছিলেন কমি। কিছুতেই খবরটি বিশ্বাস করতে পারছিলেন না তিনি। তবে সংবাদমাধ্যমে খবরটি ছড়িয়ে পড়ার খানিক বাদেই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের স্বাক্ষরিত একটি চিঠি আসে এফবিআই-র লস এঞ্জেলেসের হেডকোয়ার্টারে। ওই চিঠিতে বলা হয় এফবিআইকে সঠিকভাবে নেতৃত্ব দিতে পারছেন না কমি। তাই অ্যাটর্নি জেনারেল ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেলের সুপারিশ মেনে তাঁকে পদ থেকে সরানো হল।
[জানেন, ‘বাহুবলী’ প্রভাসের হয়ে হিন্দিতে কথা কে বলেছিলেন?]
উল্লেখ্য, মার্চ মাসে এক সঙ্গে ৪৬ জন ইউএম অ্যাটর্নিকে পদত্যাগ করার নির্দেশ দিয়েছিল ট্রাম্প প্রশাসন৷ যার মধ্যে ছিল ভারতীয় বংশোদ্ভূত প্রীত ভারারার নামও৷ প্রশাসনের তরফে অবশ্য বলা হয়েছিল যে বদলের প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা ও সাম্য আনতেই এই সিদ্ধান্ত৷ এর মধ্যে ভারারা ছাড়াও রয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল জেফ সেশনস৷ আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম ‘নিউ ইয়র্ক টাইমস’-এ প্রকাশিত একটি খবরে বলা হয়েছিল যে হোয়াইট হাউস দখলের আগে, ট্রাম্পের নির্বাচনী দলের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখত রুশ গোয়েন্দারা। সেখানে আরও বলা হয়েছিল যে ট্রাম্পকে জেতানোর জন্য হিলারি ক্লিনটনের ই-মেল হ্যাক করেছিল রুশ হ্যাকাররা।
[মদ্যপান করেছিলেন বিক্রম, জেরায় স্বীকার অভিনেতা অনিন্দ্যর]