সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অনেক টানাপোড়েনের পর শেষ পর্যন্ত কিছুদিন আগে উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে বৈঠক করেন ট্রাম্প। বৈঠক ফলপ্রসূ হওয়ার পরই ট্রাম্পকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য যোগ্য বলে মনে করছেন নরওয়ের দুই রাজনীতিবিদ। নোবেল পুরস্কার কমিটির কাছে এ নিয়ে তাঁরা আবেদন পাঠাবেন বলেও জানা গিয়েছে।
এই দুই রাজনীতিবিদ হলেন ক্রিশ্চিয়ান টাইবি ও প্রাক্তন বিচারমন্ত্রী প্রি-উইলি আমন্ডসেন। নরওয়ে প্রোগ্রেস পার্টির সাংসদ তাঁরা। দেশের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দল এটি। এর পাশাপাশি তাঁরা দু’জন নোবেল পুরস্কার কমিটিরও সদস্য। উইলি আমন্ডসন জানিয়েছেন, গোটা বিষয়টি ঐতিহাসিক। ভবিষ্যতে এটি বিশ্বে শান্তি স্থাপনের কাজ করবে।
[ পরমাণু নিরস্ত্রীকরণে সম্মত ট্রাম্প-কিম, স্বস্তির নিঃশ্বাস বিশ্বে ]
তাঁদের মতে, ট্রাম্প কোরীয় উপদ্বীপকে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ কর্মসূচির আওতায় আনতে পেরেছেন। খুব শীঘ্রই পরমাণু অস্ত্র মুক্ত কোরীয় উপদ্বীপ দেখতে পাবে গোটা দুনিয়া। এটা ট্রাম্পের কূটনীতির সাফল্য। তাই এবারের পুরস্কারের অন্যতম ন্যায্য দাবিদার তিনি। তবে চলতি বছরের জন্য মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন পেরিয়ে গিয়েছে জানুয়ারি মাসেই। তাই ট্রাম্পের মনোনয়ন আগামী বছরের জন্য কি না তা স্পষ্ট করেনি নোবেল কমিটি।
এর আগে রিপাবলিকান পার্টির ১৮ জন সেনেটর নোবেল কমিটির কাছে চিঠি পাঠিয়েছিলেন। তাঁরাও ট্রাম্পকে নোবেল শান্তি পুরস্কার দেওয়ার কথা বলেছিলেন। ওই চিঠিতে বলা হয়েছিল, কয়েক দশক থেকে উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে চলা যুদ্ধে ইতি টেনেছেন ট্রাম্প। এছাড়াও পিয়ংইয়ংয়ের একনায়ক, কিমের পারমাণবিক অস্ত্র ভাণ্ডারে লাগাম পরিয়েছেন তিনি। এই ঐতিহাসিক অবদান ও বিশ্বে শান্তি স্থাপন করার জন্য ২০১৯-র নোবেল পুরস্কারের প্রবল দাবিদার ট্রাম্প।
[ নমাজ পড়ে বেরতেই পরপর গুলি, হত আওয়ামি লিগের নেতা ]
এবছর নোবেল পুরস্কারের জন্য প্রায় ৩৩০ জনের নাম মনোনীত হয়েছিল। পরের বছরের জন্যও কমবেশি এতগুলি মনোনয়ন জমা পড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। তার মধ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্টের নাম থাকবে কিনা, তা সময়ই বলবে। তবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের মনোনয়ন নিয়ে ইতিমধ্যে দেখা দিয়েছে বিতর্ক। রাষ্ট্রসংঘ-সহ একাধিক আন্তর্জাতিক সংস্থার বিরুদ্ধে ক্রমাগত তোপ দেগেছেন ট্রাম্প। তাঁর ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতি নিয়েও অনেকের মধ্যে রয়েছে তীব্র ক্ষোভ। এত কিছুর পরও যদি নোবেল পান ট্রাম্প তাহলে এর থেকে বড় রসিকতা আর কিছুই হবে না, বলেই মনে করছেন অনেকে।