Advertisement
Advertisement

Breaking News

Blinken

পম্পেওর দিন শেষ, মার্কিন বিদেশ সচিব পদে বিডেনের পছন্দ ব্লিঙ্কেন

কোন খাতে বইবে মার্কিন বিদেশনীতি?

US President elect Biden names Antony Blinken as next secretary of state | Sangbad Pratidin
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:November 24, 2020 1:44 pm
  • Updated:November 24, 2020 4:42 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জানুয়ারি, ২০২১ থেকে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হিসেবে কাজ শুরু করবেন জো বিডেন (Joe Biden)। আপাতত চলছে ক্ষমতা হস্তান্তর প্রক্রিয়া। এর মাঝেই নিজের ঘর গোছাতে শুরু করে দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থী। সোমবার বিদেশ সচিব হিসেবে অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের নাম ঘোষণা করলেন বিডেন। ফলে আর কয়েকদিনের মধ্যে মেয়াদ শেষ হতে চলেছে বর্তমান বিদেশ সচিব মাইক পম্পেওর (Mike Pompeo)।

[আরও পড়ুন: ‘আমার কিছু হলে চিনই দায়ী থাকবে’, বিস্ফোরক জমি দখলের অভিযোগকারী নেপালি সাংসদ]

আগামী চার বছরে আমেরিকার নীতি কোন খাতে বইবে সেই দিকে কিছুটা ইঙ্গিত দিচ্ছে বিদেশ সচিব পদে ব্লিঙ্কেনের নিয়োগ। এর আগে ওবামার সময়ে উপবিদেশ সচিব এবং উপজাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার দায়িত্ব সামলেছেন ওই দুঁদে কূটনীতিক। শুধু তাই নয়, বিডেনের অত্যন্ত ঘনিষ্ট বলেও পরিচিত ব্লিঙ্কেন। ট্রাম্পের আমলে সহযোগী দেশগুলির সঙ্গে আমেরিকার সম্পর্কের অবনতি ঘটেছে। নানা কারণে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মঞ্চ থেকে সরে এসেছে আমেরিকা। সেই পুরনো সুসম্পর্ক ফিরিয়ে আনার গুরু দায়িত্ব বর্তাতে চলেছে ব্লিঙ্কেনের কাঁধে। এছাড়াও, প্রাক্তন বিদেশ সচিব জন কেরিকে পরিবেশ সংক্রান্ত সচিবের দায়িত্ব দেওয়া হবে। হোমল্যান্ড সিকিউরিটি সচিবের দায়িত্ব পেতে চলেছেন আলেজান্দ্র মেয়রকাস। জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার পদ পেতে চলেছেন জেক সুলিভান। রাষ্ট্রসংঘে পরবর্তী মার্কিন রাষ্ট্রদূত হতে চলেছেন লিন্ডা থমাস গ্রিনফিল্ড। একইসঙ্গে, প্রথম মহিলা গোয়েন্দা প্রধান পেতে চলেছে আমেরিকা। পরবর্তী ন্যাশনাল ইনটেলিজেন্স ডিরেক্টর হতে চলেছেন এভ্রিল হেইনস। দু’দশক আগে ৯/১১ সন্ত্রাসের জেরে তৈরি হওয়া এই দপ্তরের মূল কাজ আমেরিকার বিভিন্ন গোয়েন্দা এবং গুপ্তচর সংস্থার মধ্যে সমন্বয় রক্ষা। ওবামার আমলে জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত আইনি দিকগুলি দেখভালের দায়িত্বে ছিলেন CIA-র প্রাক্তন ডেপুটি ডিরেক্টর এভ্রিল।

Advertisement

বিশ্লেষকদের মতে, ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমলে মাইক পম্পেওর ঝুলিতে রয়েছে একাধিক কৃতিত্ব। আফগান-তালিবান শান্তিচুক্তি থেকে শুরু করে। ইজরায়েল ও আরব দেশগুলির মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করার মতো ঐতিহাসিক ঘটনায় পম্পেওর অবদান বিশাল। ভারতের সঙ্গে প্রতিরক্ষা সম্পর্ক মজবুত করা ও চিনকে বাগে রাখতেও নিজের ভূমিকা অত্যন্ত সফলভাবে ও আগ্রাসীভাবে পালন করেছেন তিনি। এবার প্রশ্ন হচ্ছে, দ্রুত পালটাতে থাক কূটনৈতিক মানচিত্রে পম্পেওর গড়ে তোলা ভিতের উপর কতটা কাজ করবেন ব্লিঙ্কেন এবং তাঁর জমানায় কোনও পথে যাবে মার্কিন বিদেশনীতি তা সময়ই বলবে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: অবশেষে হার মানলেন ট্রাম্প! বিডেনকে ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়ায় ছাড়পত্র মার্কিন প্রেসিডেন্টের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ