Advertisement
Advertisement
Donald Trump

হোয়াইট হাউস ছাড়ার আগে নিজেকে ‘ক্ষমা’ করলেন না ট্রাম্প, খোলা আইনি পদক্ষেপের পথ

ক্ষমতা হস্তান্তরের পর জেলও হতে পারে বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্টের।

US President Trump pardons 73, including ex-strategist exclude himself | Sangbad Pratidin
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:January 20, 2021 3:01 pm
  • Updated:January 20, 2021 3:01 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হোয়াইট হাউস ছাড়ার আগে বিশেষ ক্ষমতা ব্যবহার করে নিজের ৭৩ জন অনুগামীকে ক্ষমা করে দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। এর ফলে ক্ষমতা হস্তান্তরের পরেও এই ৭৩ জনের বিরুদ্ধে কোনওরকম আইনি পদক্ষেপ করতে পারবে না বিডেন (Joe Biden) প্রশাসন। অথচ, এঁদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধেই একের পর এক গুরুত্বর দুর্নীতি এবং আইন বিরুদ্ধ কাজ করার অভিযোগ রয়েছে। তবে, নিজের অনুগামীদের সব অপরাধ ক্ষমা করলেও, নিজেকে এবং নিজের পরিবারের কোনও সদস্যকে ক্ষমা করেননি ট্রাম্প।

আসলে, প্রেসিডেন্সিয়াল নির্বাচনে ধরাশায়ী হলেও ক্ষমতা হস্তান্তর না হওয়া পর্যন্ত ট্রাম্পের হাতে রয়েছ ‘পাওয়ার অফ ক্লিমেনসি’। অর্থাৎ কারও সাজা মাফ করে দেওয়ার বিশেষ ক্ষমতা। আর এর ফলেই ক্ষমা প্রার্থনার হিড়িক পড়েছে হোয়াইট হাউসের (White House) দরবারে। হোয়াইট হাউস ছাড়ার কয়েক ঘণ্টা আগে প্রেসিডেন্টের এই বিশেষ ক্ষমতা ব্যবহার করে ট্রাম্প নিজের ৭৩ জন ঘনিষ্ঠ অনুগামীর বহু অপরাধ ক্ষমা করে দিয়েছেন। এঁদের মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য নাম তাঁর হোয়াইট হাউসের সহযোগী স্টিভ ব্যাননের। এছাড়াও ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ এলিয়ট ব্রায়োডি, কাওমে কিলপ্যাট্রিকরা এদিন নিজেদের অপরাধ থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন।

Advertisement

[আরও পড়ুন: বিডেনের সাফল্যের জন্য প্রার্থনা করার আহ্বান, হোয়াইট হাউস ছাড়ার আগে ভোলবদল ট্রাম্পের!]

তাৎপর্যপূর্ণভাবে অনুগামীদের ক্ষমা করলেও নিজেকে বা নিজের পরিবারের সদস্যদের ক্ষমা করেননি মার্কিন প্রেসিডেন্ট। দিন কয়েক আগেই খবর রটে হোয়াইট হাউস ছাড়ার আগেই নিজেকে আইনি সুরক্ষা কবচ দিয়ে রাখতে চান মার্কিন প্রেসিডেন্ট। সেজন্য নিজের বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় দুর্নীতি এবং ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ থেকে নিষ্কৃতি পেতে ‘পাওয়ার অফ ক্লিমেনসি’ ব্যবহার করতে পারেন তিনি। কিন্তু শেষ মুহূর্তে হোয়াইট হাউসের কর্তাদের পরামর্শে সেই পদক্ষেপ থেকে বিরত থাকেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। হোয়াইট হাউসের শীর্ষকর্তারা ট্রাম্পকে জানিয়েছেন, বিশেষ ক্ষমতা বলে নিজেকে ক্ষমা করার অর্থ নিজের অপরাধ কবুল করা। যা বিদায়ী প্রেসিডেন্টের ভাবমূর্তিতে আঘাত করতে পারে। সেকারণেই শেষ মুহূর্তে এই পদক্ষেপ থেকে বিরত থাকলেন ট্রাম্প। এর অর্থ, বিডেন প্রশাসন চাইলেই ক্ষমতা হস্তান্তরের পর ট্রাম্পের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগের তদন্ত শুরু করতে পারবে। অপরাধ প্রমাণ হলে জেলেও যেতে হতে পারে ট্রাম্পকে।

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ