Advertisement
Advertisement

চাবাহার নিয়ে সুর নরম আমেরিকার, স্বস্তিতে ভারত

মার্কিন বিদেশনীতির পথে আজও কাঁটা 'এক্সিস অফ ইভিল'।

US softens on Chabahar port
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:November 7, 2018 4:12 pm
  • Updated:November 7, 2018 4:12 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মার্কিন বিদেশনীতির পথে আজও কাঁটা ‘এক্সিস অফ ইভিল’। উত্তর কোরিয়ার কিম বা সিরিয়ার আসাদকে যদিও কিছুটা বাগে আনা গিয়েছে, ট্রাম্প প্রশাসনের ঘুম কেড়েছেন ইরানের রৌহানি। স্বাভাবিকভাবেই ওয়াশিংটন-তেহরান দ্বৈরথে চাপে পড়েছে ভারত। চিনের ‘কাউন্টার ওয়েট’ আমেরিকা না পুরনো বন্ধু এবং তেল সরবরাহকারী ইরান, কাউকেই চটাতে চাইছে না নয়াদিল্লি। এমনই পরিস্থিতিতে ইরানের চাবাহার বন্দরে ভারতীয় বিনিয়োগ নিয়ে সুর নরম করল আমেরিকা।

[সামনে কুস্তি, পিছনে দোস্তি! ট্রাম্প পরিবারকে ১৮টি ট্রেডমার্ক দিল চিন]

Advertisement

মধ্য এশিয়ার সঙ্গে যোগাযোগের প্রশ্নে গদরের চেয়ে চাবাহারের অবস্থান অনেক বেশি সুবিধাজনক। তাই গদর থেকে যে ভাবে অর্থনৈতিক লাভ পাওয়ার আশা করেছিল চিন-পাকিস্তান, তা ভেস্তে যাওয়ার আশঙ্কা তো থাকছে। আরব সাগরের বুকে চিনা ঘাঁটির শ’খানেক কিলোমিটারের মধ্যেই ভারতের পালটা আস্তানা-চাবাহার। তাই কৌশলগত কারণেই কপালের ভাঁজ আরও গভীর হচ্ছে বেজিং এবং ইসলামাবাদের কর্তাদের।        

Advertisement

উল্লখ্য, গত সোমবার বা সেপ্টেম্বরের ৫ তারিখ থেকে দ্বিতীয় দফা নিষেধাজ্ঞা চাপাল আমেরিকা। যেখানে অপরিশোধিত তেল এবং পেট্রোপণ্যের উপর কড়া বিধি-নিষেধ আরোপ করা হয়েছে। হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, ইরানের সঙ্গে যে সব দেশ বাণিজ্যিক সম্পর্ক রাখবে, তাদের উপরও নেমে আসবে একই নিষেধাজ্ঞা। তবে, ভারত, তুরস্ক, জাপান-সহ ৮টি মার্কিন বন্ধু দেশকে সাময়িক ভাবে এই নিষেধাজ্ঞার আওতার বাইরে রাখা হয়েছে। আপাতত চিন, দক্ষিণ কোরিয়াও রয়েছে সেই তালিকায়। মার্কিন বিদেশ সচিব মাইক পম্পেও যদিও হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “আমরা কী করছি শুধু দেখতে দেখুন। নজিরবিহীনভাবে বাজার থেকে জ্বালানি তেল উৎপাদন কমিয়েছি। দেখি কীভাবে মোকাবিলা করে তারা।” ইরানের সঙ্গে ২০১৫ সালে হওয়া বারাক ওবামার সময়ের পরমাণু চুক্তি ভেঙে গত মে মাসে দফায় দফায় মার্কিন নিষেধাজ্ঞা চাপান ডোনাল্ড ট্রাম্প। তারপর আমেরিকা বনাম ইরান শত্রুতা চরমে ওঠে।

২০১৩ সালে ক্ষমতায় আসেন হাসান রৌহানি। মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিভিন্ন পদক্ষেপে সমালোচনা করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। যার ফলস্বরূপ কোপ পড়ে ইরানের উপর। ইরানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করার এবং পরমাণু চুক্তি ভেঙে বেরিয়ে আসার জন্য মার্কিন সিদ্ধান্তের প্রবল সমালোচনা করেছে ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানি, চিন এবং রাশিয়া। এদিকে, আমেরিকার বন্ধু হওয়া সত্ত্বেও ভারত কেন ইরান থেকে তেল কিনছে? কেন ভারত আমেরিকার নিষেধাজ্ঞা মেনে চলছে না? কেন আমেরিকার সঙ্গে সহযোগিতা করছে না? সাংবাদিকদের এই প্রশ্নের জবাব সরাসরি এড়িয়ে গিয়েছেন মার্কিন বিদেশ সচিব মাইক পম্পেও।

[শত্রুতার জবাব শত্রুতা, আমেরিকাকে হুঁশিয়ারি ইরানের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ