Advertisement
Advertisement

শত্রুতার জবাব শত্রুতা, আমেরিকাকে হুঁশিয়ারি ইরানের

মার্কিন নিষেধাজ্ঞা ‘গর্বের সঙ্গে অবজ্ঞা’ প্রেসিডেন্ট রৌহানির।

Iran slams US on sanctions
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:November 6, 2018 10:57 am
  • Updated:November 6, 2018 10:57 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আন্তর্জাতিক পরমাণু চুক্তি ঘিরে বিতর্কের জেরে ইরানের উপর আছড়ে পড়ল আমেরিকার আর্থিক নিষেধাজ্ঞা। সঙ্গে সঙ্গে পালটা চ্যালেঞ্জ ছুঁড়লেন ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রৌহানি। এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে রৌহানি বলেছেন, “আমেরিকার নিষেধাজ্ঞা আমরা গর্বের সঙ্গে অবজ্ঞা করছি। ওদের শত্রুতার জবাব শত্রুতা দিয়েই দেওয়া হবে। হাজার চেষ্টা করেও ওরা আমাদের ওদের ভাষায় কথা বলাতে পারবে না।”

[ক্যামেরুনের বোর্ডিং স্কুল থেকে অপহৃত ৮০ জন পড়ুয়া]

Advertisement

তিনি বলেন, “ইতিহাসে এমন নজির আছে কি-না জানা নেই, হোয়াইট হাউসে যিনি এলেন তিনিই আইন এবং আন্তর্জাতিক বিধিনিষিধের বিধাতা হয়ে গেলেন। কিন্তু আমেরিকা জেনে রাখুক, ওদের দাদাগিরি কিছুতেই মানা হবে না। কিছুতেই না।”
রৌহানি দাবি করেছেন, মার্কিন নিষেধাজ্ঞা ইরান গর্বের সঙ্গে অবজ্ঞা করছে। কারণ তাদের এই পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক আইনের বিরোধী। সবাই জানে কঠিন সময়ের মধ্যে এগোতে হচ্ছে দেশকে। কিন্তু নিজের ক্ষমতায় ইরান এই দুঃসময় কাটিয়ে উঠব। আমেরিকা দেশকে বিপর্যস্ত করতে পারবে না। এদিকে, নিষেধাজ্ঞার জেরে দেশের অর্থনীতি কার্যত বিপর্যয়ের মুখে। রিয়্যালের দর নেমেছে তলানিতে। আকাশ ছুঁয়েছে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম। রৌহানি জানান, পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সরকার জরুরি ভিত্তিতে কাজ করছে। উল্লেখ্য, এর আগে এক দফা মার্কিন নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে ইরানের উপর।

Advertisement

সোমবার দ্বিতীয় দফা নিষেধাজ্ঞা চাপাল আমেরিকা। যেখানে অপরিশোধিত তেল এবং পেট্রোপণ্যের উপর কড়া বিধি-নিষেধ আরোপ করা হয়েছে। হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, ইরানের সঙ্গে যে সব দেশ বাণিজ্যিক সম্পর্ক রাখবে, তাদের উপরও নেমে আসবে একই নিষেধাজ্ঞা। তবে, ভারত, তুরস্ক, জাপান-সহ ৮টি মার্কিন বন্ধু দেশকে সাময়িক ভাবে এই নিষেধাজ্ঞার আওতার বাইরে রাখা হয়েছে। আপাতত চিন, দক্ষিণ কোরিয়াও রয়েছে সেই তালিকায়। মার্কিন বিদেশসচিব মাইক পম্পেও যদিও হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “আমরা কী করছি শুধু দেখতে দেখুন। নজিরবিহীনভাবে বাজার থেকে জ্বালানি তেল উৎপাদন কমিয়েছি। দেখি কীভাবে মোকাবিলা করে তারা।” ইরানের সঙ্গে ২০১৫ সালে হওয়া বারাক ওবামার সময়ের পরমাণু চুক্তি ভেঙে গত মে মাসে দফায় দফায় মার্কিন নিষেধাজ্ঞা চাপান ডোনাল্ড ট্রাম্প। তারপর আমেরিকা বনাম ইরান শত্রুতা চরমে ওঠে।

২০১৩ সালে ক্ষমতায় আসেন হাসান রৌহানি। মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিভিন্ন পদক্ষেপে সমালোচনা করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। যার ফলস্বরূপ কোপ পড়ে ইরানের উপর। ইরানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করার এবং পরমাণু চুক্তি ভেঙে বেরিয়ে আসার জন্য মার্কিন সিদ্ধান্তের প্রবল সমালোচনা করেছে ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানি, চিন এবং রাশিয়া। এদিকে, আমেরিকার বন্ধু হওয়া সত্ত্বেও ভারত কেন ইরান থেকে তেল কিনছে? কেন ভারত আমেরিকার নিষেধাজ্ঞা মেনে চলছে না? কেন আমেরিকার সঙ্গে সহযোগিতা করছে না? সাংবাদিকদের এই প্রশ্নের জবাব সরাসরি এড়িয়ে গিয়েছেন মার্কিন বিদেশসচিব মাইক পম্পেও।

[শ্রীলঙ্কায় লঙ্কাকাণ্ড, এবার রাজাপক্ষেকে হুঁশিয়ারি সংসদের অধ্যক্ষের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ