Advertisement
Advertisement

Breaking News

মার্কিন বিমানহানা

বাগদাদ এয়ারপোর্টে মার্কিন বিমানহানা, মৃত ইরানের শীর্ষ সেনা কমান্ডার

আশঙ্কা সত্যি করে ইরানের সেনাবাহিনীর ওপর হামলা চালাল আমেরিকা।

US strike'' killed top Iran, Iraq commanders at Baghdad airport
Published by: Soumya Mukherjee
  • Posted:January 3, 2020 9:15 am
  • Updated:January 3, 2020 9:32 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইরাকের বাগদাদ এয়ারপোর্টে আমেরিকার বিমান হামলার ফলে মৃত্যু হল ইরান এলিট গার্ড ফোর্সের প্রধান জেনারেল কাশেম সোলেমানি-সহ ৮ জনের। তার মধ্যে ইরানের মদতপুষ্ট পপুলার মোবালাইজেশন ফোর্সের ডেপুটি কমান্ডার আবু মেহদি আল-মুহানদিসও আছে। স্থানীয় সময় শুক্রবার ভোরে এই ঘটনা ঘটে। আর তারপরই নিজের টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে আমেরিকার পতাকা পোস্ট করেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। পরে পেন্টাগনের তরফে সরকারি বিবৃতি দিয়ে এই হামলার কথা স্বীকারও করা হয়। বলা হয়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশেই এই হামলা চালিয়েছে তারা।

ইরাকের সংবাদমাধ্যম ও প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার ভোরে আচমকা বাগদাদ এয়ারপোর্ট বিমান হামলা চালায় আমেরিকা। তিনটি রকেট ছোঁড়ে। এর ফলে ইরান এলিট গার্ড ফোর্সের প্রধান কমান্ডার কাশেম সোলেমানি, PMF-এর ডেপুটি কমান্ডার আবু মেহদি আল-মুহানদিস ও বিমানবন্দরের প্রোটোকল অফিসার মহম্মদ রেদা-সহ আটজনের মৃত্যু হয়েছে।

[আরও পড়ুন: বিধ্বংসী দাবানলে পুড়ছে অস্ট্রেলিয়া, একদিনে মৃত কমপক্ষে ১২]

 

ইরাকের আধাসামরিক বাহিনীর এক আধিকারিক জানান, ইরান থেকে কিছু শীর্ষস্থানীয় আধিকারিকের ইরাকে আসার কথা ছিল। সেই কারণে বাগদাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গিয়েছিলেন শীর্ষস্থানীয় প্রোটোকল অফিসার মহম্মদ রেদা। তিনি যখন ইরান এলিট গার্ড ফোর্সের প্রধান সুলেমানি ও মুহানদিসকে নিয়ে বিমানবন্দরে থেকে বের হচ্ছিলেন তখন কার্গো হলের কাছে তিনটি রকেট এসে পড়ে। এর ফলে ঘটনাস্থলে থাকা সবার মৃত্যু হয়েছে। কয়েকটি দেহ এমনভাবে পুড়ে গিয়েছে যে শনাক্ত করা যাচ্ছে না। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অন্যদিকে এই ঘটনার জন্য সরাসরি আমেরিকার দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছে ইরানের মদতপুষ্ট পপুলার মোবালাইজেশন ফোর্স।

গত ২৯ ডিসেম্বর বাগদাদে মার্কিন দূতাবাসের সামনে হামলা হয়। এরপরই এই ঘটনার জন্য ইরানকে চরম মূল্য দিতে হবে হুমকি দেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। উত্তরে ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি জানান, জাতীয় স্বার্থের জন্য যে কোনও দেশের মুখোমুখি হবে তেহরান। ইরান মোটেই ভীত নয়। এরপরই মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব বিবৃতি দিয়ে কয়েকদিনের মধ্যে বাগদাদে মার্কিন সেনা পাঠানোর কথা ঘোষণা করেন। তারপর থেকেই ইরানের ওপর মার্কিন হামলার আশঙ্কা ছিল। তা সত্যি করে ইরানের সেনাবাহিনীর ওপর হামলা চালাল আমেরিকা।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ