সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একে-অপরের স্ত্রীকে ভালবেসে ফেলেছিলেন। আর তাই সহকর্মীর স্ত্রীর সঙ্গে নিজের স্ত্রীর অদলাবদলিও করেন। শুধু তাই নয়, সেই সঙ্গে পরিবার এবং বাড়িও বদল করেন। কিন্তু তার জেরেই চাকরি খোওয়াতে হয় আমেরিকার লুইজিয়ানার দুই বাসিন্দা ব্র্যান্ডন কুকার এবং মাইকেল গোল্ডেনকে। নিয়মভঙ্গ করায় কাজ থেকে দু’জনকেই সাময়িক অব্যাহতি দিয়েছিলেন চিফ ডেপুটি শেরিফ চার্লস ওয়েনস। বলেছিলেন, ডির্ভোস না নিয়ে এ ধরনের কাজ করা নিয়মবিরুদ্ধ। আর যতদিন না তাঁরা ডিভোর্স পাচ্ছেন কাজে আসতেই পারবেন না। এরপর বিচার চেয়ে আদালতে মামলা করেও লাভ হল না কোনও। নিম্ন আদালত লুইজিয়ানার চিফ ডেপুটি শেরিফ চার্লসের সিদ্ধান্তে শিলমোহর দেয়। এরপর মার্কিন সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলেও সেখানে হার শিকার করতে হল পেশায় সরকারি চাকুরিজীবী ওই দুই ব্যক্তি। সোমবার সেদেশের শীর্ষ আদালত মামলাটি খারিজই করে দিল।
ভালবাসা কখন কীভাবে সামনে এসে দাঁড়াবে, আগে থেকে বলা সম্ভব নয়। আচমকাই হয়তো মনের মানুষকে পেয়ে যেতে পারেন সামনে। আবার দীর্ঘদিন ধরে সম্পর্ক থাকলেও কখনও মনে হতে পারে ওই মানুষটির সঙ্গে আপনি ভাল নেই। ঠিক এভাবেই নিজেদের মনের মানুষকে খুঁজে পেয়েছিলেন ব্র্যান্ডন কুকার এবং মাইকেল গোল্ডেন নামে ওই দুই সহকর্মী। তাও কিনা একে-অপরের স্ত্রীর মধ্যে। শেষপর্যন্ত ২০১৪ সালের অক্টোবরে পরিবারের লোকজনের সঙ্গে আলোচনা করে একজন আরেকজনের বাড়িতে অন্যের স্ত্রীর সঙ্গেই থাকতে শুরু করেন। কিন্তু নিজের অধঃস্তন কর্মীদের এ বিষয়টিই মেনে নিতে পারেননি চার্লস। তাঁদের কাজ থেকে ‘ছুটি’ দিয়ে দেন। জানিয়ে দেন। ডিভোর্স না নিলে ছাঁটাইও হতে পারেন দু’জনে। আর গোটা ঘটনাটিকেই নিয়মবিরুদ্ধ অ্যাখা দেন তিনি। এরপরই আদালতে মামলা করেন ওই দুই ব্যক্তি। অভিযোগ করেন, তাঁদেরকে নিয়মবহির্ভূতভাবে চাকরি থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ডিস্ট্রিক্ট এবং আপিলস কোর্টের রায় ডেপুটি শেরিফের পক্ষে যায়। শেষপর্যন্ত মামলা গড়ায় সুপ্রিম কোর্টে।
সেই মামলার শুনানিতেই সোমবার আদালত রায় দেয়। রায়ে মামলাটিই খারিজ করে দেয় শীর্ষ আদালত। অর্থাৎ এবার চাইলে ওই দুই কর্মীকে ডির্ভোসের আগেই স্ত্রী বদলানোর কারণে ছাঁটাই করতে পারেন শেরিফ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.