Advertisement
Advertisement

Breaking News

জয়ের শুভেচ্ছা জানিয়ে পুতিনকে ফোন ট্রাম্পের, মুখোমুখি সাক্ষাতের সম্ভাবনা

অস্ত্রের প্রতিযোগিতা কি কমবে?

US's Donald Trump congratulates Russia's Vladimir Putin on election victory
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:March 21, 2018 2:19 pm
  • Updated:August 1, 2019 7:21 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দুই মহাশক্তিধর দেশের রাষ্ট্রনায়ক দু’জনে। কূটনৈতিক ক্ষেত্রে একে অপরকে মাত দেন। বিশ্বে ক্ষমতা ধরে রাখার ক্ষেত্রে কেউ কাউকে ছেড়ে কথা বলার পাত্র নন। সেই তাঁরাই আবার বিশেষ মুহূর্তে একে অপরের কাছাকাছিও আসেন। সম্প্রতি জয়ের শুভেচ্ছা জানিয়ে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে ফোন করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শুধু তাই নয়, মুখোমুখি দেখা হওয়ার বাসনাও প্রকাশ করলেন।

[  দুর্নীতি মামলায় জেরবার, ব্রিটিশ আইনজীবীর শরণাপন্ন খালেদা জিয়া ]

Advertisement

নির্বাচনী ফলাফল ছাড়পত্র দিয়েছে। পুনরায় রাশিয়ার শীর্ষে থাকার অধিকার পেয়েছেন পুতিন। অর্থাৎ আগামী ৬ বছর রাশিয়া একচ্ছত্র শাসনভার তাঁর উপরেই। এদিকে এই নির্বাচন নিয়ে বিশ্বে আলোচনা কম ছিল না। অনেকেই বলেছিলেন, এ নির্বাচন আসলে ‘তামাশা’। নিজের ক্ষমতাকেই নির্বাচনী রক্ষাকবচে প্রসারিত করেছেন পুতিন। এদিকে পশ্চিমী দেশের সঙ্গেই রাশিয়ার সম্পর্ক মোটেও মধুর নয়। তা সত্ত্বেও ট্রাম্পের ফোন তাই অন্য মাত্রা পেয়েছে। শুভেচ্ছা জানানোর পর ট্রাম্প জানান, অভিনন্দন জানাতেই রাষ্ট্রনায়ককে ফোন করেছিলেন তিনি। মুখোমুখি দেখা হওয়ারই ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন। যদিও হোয়াইট হাউসের তরফে পরে জানানো হয়েছে, এখনই এরকম কোনও সাক্ষাতের দিনক্ষণ এখনও স্থির হয়নি।

Advertisement

[  পাকিস্তানে ঢুকে জঙ্গি দমনের ডাক মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্টের ]

এদিকে অস্ত্র ও সামরিক আগ্রাসন নিয়ে রাশিয়াকে ক্রমাগত আক্রমণ করে চলেছে আমেরিকা। ইউক্রেন ও সিরিয়ায় যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তার নেপথ্যেও আছে আমেরিকা-রাশিয়া দ্বন্দ্ব। সেই ক্ষেত্রে দুই শক্তিই অনড় অবস্থান নিয়ে বসে আছে। কিন্তু হোয়াইট হাউস সূত্রে জানা যাচ্ছে, দুই নেতাই একটা বিষয়ে সহমত যে, এই অস্ত্র নিয়ে প্রতিযোগিতায় কোথাও ইতি টানা দরকার। সে কারণেই অদূর ভবিষ্যতে হয়তো উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হতে পারে। রাশিয়ার ভোট নিয়ে তাই কৌশলী অবস্থান হোয়াইট হাউসের। কোনওরকম বিরূপ মন্তব্যে না গিয়ে ট্রাম্প প্রশাসন জানিয়েছে, অন্য দেশের জনগণ কাকে নির্বাচন করবেন, সে বিষয়ে কোনও মন্তব্য করা সাজে না। এই নমনীয় পরিবেশ বেশ আশ্চর্য করেছে বিশ্বের রাজনৈতিক মহলকে। যদি ভবিষ্যতে ট্রাম্প-পুতিন মুখোমুখি হন, তবে অস্ত্রের ঝনঝনানি যে দুনিয়াতে অনেকটা কমবে, তা বলাই বাহুল্য।

[  সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে হাতিয়ার ধর্ষণ, নারকীয় অত্যাচারের শিকার মহিলারা ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ