Advertisement
Advertisement

সহপাঠীকে মেরে রক্তপান, হাসপাতালে চিকিৎসক সেজে ধৃত ‘ভ্যাম্পায়ার’

ডিগ্রি ও অন্য সার্টিফিকেট দেখার পরেই তাকে বরখাস্ত করা হয়।

Vampire killer found as fake doctor
Published by: Utsab Roy Chowdhury
  • Posted:February 2, 2019 1:43 pm
  • Updated:February 2, 2019 1:44 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভ্যাম্পায়ার থেকে জাল ডাক্তার। ডাক্তারি পাশের কোনও সার্টিফিকেট ছিল না। কিন্তু দিব্যি চিকিৎসকের কাজ পেয়েছিলেন এক হাসপাতালে। প্রায় দুই দশক আগে স্কুলের সহপাঠীকে খুনের অভিযোগ। ভ্যাম্পায়ারের মতো সহপাঠীকে খুন করে তার রক্তপান করে সে। গত বছর নভেম্বর মাসে এক হাসপাতালে প্রাথমিক ডাক্তার হিসেবে কাজ শুরু করে। এবার জাল সার্টিফিকেট ও অতীতে এরকম একটি ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হল ভ্যাম্পায়ার ডাক্তারকে। ঘটনাটি রাশিয়ার উরালস সিটির শেলাবিনস্কের।

[আমেরিকায় পোলার ভর্টেক্স-এর তাণ্ডব, মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২১]

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ৩৬ বছরের ওই ব্যক্তির নাম বরিস কোন্দ্রাশিন। ১৯৯৮ সালে, অর্থাৎ ২০ বছর আগে সে নিজেকে ভ্যাম্পায়ার হিসেবে ভাবত। খেলতে খেলতে এক সহপাঠী ও বন্ধুকে খুন করে দেহ টুকরো টুকরো করে কাটে। তারপর তার রক্তপান করে। ২০০০ সালে একটি পাভলভে পাঠানো হয় কোন্দ্রাশিনকে। হোমিসিডাল সিজোফ্রেনিয়ার চিকিৎসা চলে। চিকিৎসকদের জানায়, অবচেতন মনে কীভাবে খুন করে ফেলেছে, তা বুঝতে পারেনি। প্রায় দশ বছর চিকিৎসা চলার পর ছাড়া পায় বরিস। কীভাবে হাসপাতালের জাল সার্টিফিকেট ভাঁড়িয়ে হাসপাতালে ঢুকেছিল, তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। হাসপাতালের পক্ষ থেকে জানানো হয়, প্রাথমিক চিকিৎসক হিসেবে তাকে নিয়োগ করা হয়েছিল। সেখানে রোগীদের মদ্যপান ও ধূমপানের বিরোধিতায় প্রচার করত। কীভাবে যোগব্যায়ামের মাধ্যমে উপকার পাওয়া যায়, তা নিয়েও উপদেশ দিতেন তিনি। আগের অভিজ্ঞতা জানতে চাওয়া হয়নি। কারণ, সে জানিয়েছিল তার পুরনো রেকর্ড সব হারিয়ে গিয়েছে।

Advertisement

[মোবাইলে শিশুদের পর্নোগ্রাফি, শ্রীঘরে ভারতীয় পর্যটক]

সূত্রের খবর, বরিসের চিকিৎসকরা ওই হাসপাতালে একদিন এসে তাকে দেখে অবাক হয়ে যান। তারপরই তারা পুলিশে অভিযোগ করেন। আটক করা হয় বরিসকে। হাসপাতাল তার ডিগ্রি ও অন্য সার্টিফিকেট দেখার পরেই তাকে বরখাস্ত করা হয়। বরিসের বোনও ডাক্তার। তিনি বলেন, তার ভাই যে চাকরি করছে সেটা বাড়ির লোক জানতই না। চিকিৎসকরা তাকে পাভলভ থেকে ছেড়ে দিলেও মাঝেমাঝে চিকিৎসকদের কাছে যেতে হয় তাকে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement