সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মাসুদ আজহার ইস্যুতে ইতিমধ্যেই বড় সাফল্য পেয়েছে ভারত৷ দীর্ঘদিন প্রতিবন্ধকতা তৈরি করার পর, অবশেষে ভারতের দাবিকে সমর্থন করেছে চিন৷ আমেরিকা, ব্রিটেন, ফ্রান্সের মতোই জইশ প্রধানকে আন্তর্জাতিক জঙ্গি ঘোষণা করতে রাজি হয়েছে বেজিংও৷ নির্বাচনের মরশুমে রাষ্ট্রসংঘের এই সিদ্ধান্তকে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকারের বড়সড় কূটনৈতিক সাফল্য বলেই বর্ণনা করছে রাজনৈতিক মহল৷ এবার প্রশ্ন হল, জইশ প্রধানকে আন্তর্জাতিক জঙ্গি ঘোষণা ছাড়াও, তার উপর আর কী কী নিষেধাজ্ঞা জারি করতে পারে রাষ্ট্রসংঘ?
[ আরও পড়ুন: ইস্টার হামলার জের, শ্রীলঙ্কায় বন্ধ জেহাদি জাকিরের পিস টিভির সম্প্রচার ]
২০১৬-র পাঠানকোট হামলার পর থেকেই মাসুদকে আন্তর্জাতিক জঙ্গি ঘোষণা করার দাবি জানিয়ে আসছিল ভারত৷ কিন্তু বারবারই এতে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল পাকিস্তানের সব ঋতুর বন্ধু চিন৷ এবছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি আবারও কাশ্মীরকে রক্তাক্ত করে মাসুদের নেতৃত্বাধীন জঙ্গি সংগঠন৷ এক জইশ জঙ্গির আত্মঘাতী হামলায় শহিদ হয়েছেন চল্লিশ জনেরও বেশি ভারতীয় জওয়ান৷ এই জঙ্গি নেতার দফারফা করতে এবার আর কোনও কসুর করেনি বিদেশমন্ত্রক৷ মন্ত্রকের তরফে, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে আলাদা আলাদা ভাবে যোগাযোগ করা হয়৷ এবারও নয়াদিল্লির পাশে দাঁড়ায় আমেরিকা, ব্রিটেন, ফ্রান্স ও রাশিয়া৷ কিন্তু চতুর্থবারের জন্য এই ইস্যুতে ভেটো ক্ষমতা প্রয়োগ করে চিন৷
তবে সম্প্রতি পরিস্থিতির বদল ঘটে৷ চলতি মাসের শুরুতেই এই বিষয়ে সুর নরমের ইঙ্গিত দেন চিনা বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র জেং শুয়াং৷ তিনি জানান, “নিরাপত্তা পরিষদের ১২৬৭ নম্বর আল কায়দা সংক্রান্ত নিষেধাজ্ঞা কমিটির কাছে মাসুদ আজহারের বিরুদ্ধে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। মাসুদকে ‘বিশ্ব সন্ত্রাসী’ তকমা দিতে এই প্রস্তাব যাতে পাশ হয় সে ব্যাপারে বেশ কিছু ‘ইতিবাচক অগ্রগতি’ হয়েছে।” যার ফলাফল দেখা গেল বুধবার৷ সূত্রের খবর, মাসুদকে আন্তর্জাতিক জঙ্গি ঘোষণায় এবার আর উলটো পথে হাঁটেনি চিন৷ রাষ্ট্রসংঘের অন্যান্য দেশের মতোই ভারতের দাবিকে সমর্থন করেছে জিনপিং প্রশাসন৷
[ আরও পড়ুন: এবার তিমি মাছকেও সামরিক প্রশিক্ষণ দিচ্ছে রুশ সেনা! ]
কূটনৈতিক মহলের মতে, রাষ্ট্রসংঘের এই সিদ্ধান্তের পর এবার নানাবিধ নিষেধাজ্ঞার জারি হতে পারে জঙ্গি মাসুদের উপর৷ প্রথমত, তার স্থাবর-অস্থাবর সমস্ত সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত হতে পারে৷ ফলে কোনও উৎস থেকেই আর অর্থ সাহায্যে পাবেন না জইশ প্রধান৷ দ্বিতীয়ত, তার যেকোনও সফরের উপর নিধেষাজ্ঞা জারি হবে৷ ফলে কোনও দেশে আর প্রবেশ করতে পারবে না এই জঙ্গি নেতা৷ তৃতীয়ত, মাসুদের অস্ত্র আমদানি বন্ধ হবে৷