সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিংপিংয়ের সঙ্গে বৈঠকের আগেই উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি, বৈঠকে উত্তর কোরিয়াকে নিয়ে আলোচনা হবে। উত্তর কোরিয়ার উপর চিনের প্রভাব রয়েছে। চিনকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে, তারা কার পাশে থাকবে? ট্রাম্প বলছেন, “চিন আমাদের সাহায্য করলে ভাল, নইলে কারও ভাল হবে না।”
[মহিলা যাত্রীদের সুরক্ষায় এবার স্টিয়ারিংয়ে হাত মহিলাদেরই]
ট্রাম্প বরাবরই তাঁর কটাক্ষের জন্য ‘বিখ্যাত’। এই মুহূর্তে বেজিংয়ের সঙ্গে ওয়াশিংটনের বাণিজ্যিক বিরোধ তুঙ্গে। তার উপর ট্রাম্পের এই মন্তব্য দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের আগে তাপমাত্রার পারদ ছড়িয়ে দিল, এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা। ট্রাম্প স্পষ্ট বলছেন, প্রয়োজনে উত্তর কোরিয়াকে একাই সামলাতে পারবে আমেরিকা। সাংবাদিকরা যখন তাঁকে প্রশ্ন করেন, চিনের সহযোগিতা না পেলে উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে ট্রাম্পের ‘রণনীতি’ কী হবে, তখন ট্রাম্প অবশ্য কোনও উত্তর দেননি।
যদিও পিয়ংইয়ংয়ের উপর বেজিংয়ের প্রভাবের কথা অস্বীকার করেছে চিন। কিন্তু বেজিং স্বীকার না করলেও উত্তর কোরিয়াকে পারমাণবিক অস্ত্রের প্রযুক্তি সরবরাহের পিছনে যে চিনের প্রত্যক্ষ মদত রয়েছে, এমনটাই দাবি মার্কিন গোয়েন্দাদের। উত্তর কোরিয়াকে যে কোনও পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করতে নিষেধ করেছে রাষ্ট্রসংঘ। কিন্তু আন্তর্জাতিক সংস্থাটির নিষেধাজ্ঞা কার্যত অগ্রাহ্য করে প্রায়ই পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষা করছে কিম জং উনের দেশ। গত এক বছরে দু’টি পারমাণবিক বোমা ও এক ডজন ব্যালিস্টিক মিসাইল পরীক্ষা করেছে পিয়ংইয়ং।