সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: খেলার নাম যৌনতা। তাও চৌষট্টি কলার কেরামতি নয়, রীতিমতো ঘণ্টার পর ঘণ্টা নির্যাতন। এবং শেষমেশ খুন। এই পরিণতিই হল এক বছর পঞ্চান্নর প্রৌঢ়ার। দুই যুবকের সেক্স গেমের বলি হতে হল তাঁকে। কুকর্ম করে দেশ ছেড়ে পালানোর ছক কষেছিল অভিযুক্তরা। পুলিশের জালে অবশ্য শেষ পর্যন্ত পড়তে বাধ্য হল তারা।
[ ট্রাম্পের চোখারাঙানির জের, হাফিজের জঙ্গি সংগঠন ফের নিষিদ্ধ পাকিস্তানে ]
ঘটনা বার্লিনের। সম্প্রতি সেখানকার স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে এ খবর প্রকাশিত হয়েছে। তারপরই তোলপাড় পড়ে গোটা বিশ্বে। জানা যাচ্ছে, ক্রিসমাসের একটু আগেই এই কাণ্ড ঘটায় দুই অভিযুক্ত। তাদের একজনের বয়স ৩৬। অন্যজন ২৭ বছরের যুবক। অনলাইন মারফত যৌনসঙ্গী খুঁজেছিল দুই অভিযুক্ত। তাদের পছন্দ ছিল স্ট্রেঞ্জ সেক্স। অর্থাৎ যৌনতার নামে যা খুশি তাই করার ছাড়পত্র নিয়েই আসরে নেমেছিল দুই অভিযুক্ত। সেইমতো বছর পঞ্চান্নর এক প্রৌঢ়াকে তারা বেছে নেয়। অনলাইন ডেটিং সাইটেই চলবে সমস্ত কাজকর্ম। নির্দিষ্ট দিন প্রৌঢ়াকে ঘরে নিয়ে গিয়ে তোলে দুই যুবক। তারপর যৌনতার নামে প্রৌঢ়ার উপর যথেচ্ছ অত্যাচারে মেতে ওঠে। একসময় এই নির্যাতন আর সহ্য করতে পারেননি তিনি। তাতেও অবশ্য ক্ষান্ত হয়নি দুই অভিযুক্ত। ডেটিং সাইটের শর্ত মেনেই যৌনসঙ্গীকে অর্থের বিনিময়ে পেয়েছিল। ফলত ঘণ্টার পর ঘণ্টা নির্যাতন চালায় তারা। এবং শেষ পর্যন্ত খুন করে ওই বৃদ্ধাকে। তারপরই গা-ঢাকা দেয়। দেশ ছেড়ে তুরস্ক পালানোর ছক কষেছিল। কিন্তু বিমানবন্দরে দু’জনকেই পাকড়াও করে পুলিশ।
[ আধ্যাত্মিক গুরুকে গোপনে বিয়ে করলেন ইমরান খান! ]
ক্রিসমাসের আগেই রাস্তার ধারে চাদর মোড়া মহিলার মৃতদেহ আবিষ্কার করেন পথচারীরা। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। ময়নাতদন্তে জানা যায়, স্বাভাবিক কারণে মৃত্যু হয়নি প্রৌঢ়ার। সারা শরীরে যৌন নির্যাতনের চিহ্ন স্পষ্ট। ব্যাপক নির্যাতনের পরেই তাঁকে খুন করা হয়েছে। তদন্তে নেমে পুলিশ একের পর এক সূত্র পায়। যে বাড়িটিকে যৌনতার স্থান হিসেবে বেছে নিয়েছিল অভিযুক্তরা, সেটিরও সন্ধান মেলে। এরপরই অনলাইন থেকে যৌনসঙ্গী পাওয়ার সূত্রটিও হাতে আসে। অনলাইন ডেটিং সাইট মারফত পছন্দের সঙ্গী নির্যাতন করতে আকছার দেখা যায়। কিন্তু দুই বিকৃতকাম অভিযুক্ত যৌনতার নামে রীতিমতো ধর্ষণ ও নির্যাতন করে খুন করেছে ওই বৃদ্ধাকে। পুলিশসূত্রে জানা যাচ্ছে, দুই অভিযুক্ত একেবারে আনকোরা নয়। এর আগেও পুলিশের মুখোমুখি হয়েছে তারা। ড্রাগ পাচার, বেআইনি অস্ত্র, মারধর, চুরি-ছিনতাইয়ের মতো একাধিক ঘটনায় পুলিশ আগেও তাদের ধরেছিল। ফলে পুলিশের কাছে তাদের কুকীর্তি পরিচিত। এরকম একটা ঘটনা তদন্তে নেমে পুলিশ তাই তাদের খুঁজতে শুরু করে। পুরো ঘটনার পুনর্নিমাণও করে পুলিশ। এরপরই অপরাধীদের খোঁজে তল্লাশি চালায়। বেশ কিছুদিন পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে ছিল তারা। বাঁচার উপায় নেই দেখেই দেশ ছাড়ার পরিকল্পনা নিয়েছিল। পুলিশের সক্রিয়তায় তা অবশ্য সম্ভব হয়নি। দুই অভিযুক্তকেই নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।
[ তাইল্যান্ডে পুরুষাঙ্গ ফর্সা করার হিড়িক, ভাইরাল ভিডিও ]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.