সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক : অসুস্থতা জনিত কারণে মৃত্যু হল বিশ্বের প্রবীণতমা মহিলার। ‘দি গ্রেট গ্র্যান্ড মাদার’ নাবি তাজিমা। তাঁর বাড়ি দক্ষিণ জাপানের কিউসু’র কিকাই শহরে। মৃত্যুকালে তাজিমার বয়স হয়েছিল ১১৭ বছর। দক্ষিণ জাপানের কিকাই শহরের এক হাসপাতালে শনিবার রাতে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। গত জানুয়ারি থেকেই ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তাজিমা। ১৯০০ সালের ৪ আগস্ট জন্ম হয় নাবি তাজিমার। তাঁর ১৬০ জন বংশধর বর্তমান। সম্পর্কে সকলেই তাঁর নাতি তস্য নাতি, নাতনি। মাত্র সাতমাস আগেই বিশ্বের প্রবীণতমার তকমা পান নাবি তাজিমা। জামাইকার বাসিন্দা ১১৭ বছর বয়সী ভয়োলেট ব্রাউনের মৃত্যুর পরই নাবি তাজিমা প্রবীণতমার তালিকা শীর্ষে চলে আসেন।
[গুরুতর অসুস্থ বাংলাদেশের বিখ্যাত কবি বেলাল চৌধুরি]
উল্লেখ্য, চলতি মাসের শুরুতেই বিশ্বের প্রবীণতম মানুষ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছেন মাসাজো নোনাকা। জাপানের উত্তরাংশের বাসিন্দা মাসাজো নোনাকার বয়স ১১২বছর। ইতিমধ্যেই গিনেস বুকের তরফে প্রবীণতম মানুষের সংশাপত্রও পেয়েছেন তিনি। সেই সময়ই নাবি তাজিমাকে প্রবীণতমার সংশাপত্র প্রদানের বিষয়টি নিয়েও আলাপ আলোচনা শুরু হয়। তাজিমার মৃত্যুর ঠিক তিনদিন আগেই চলে গেলেন সেলিনো ভিলানুভা জারামিলো। যিনি ১২১ বছর বয়সী হিসেবে নিজেকে বিশ্বের প্রবীণতম পুরুষ দাবি করেছিলেন। তাঁর পরিচয়পত্রেও জন্মসাল ও তারিখ যথাক্রমে ১৮৯৬-এর ২৫ জুলাই উল্লেখ রয়েছে। তবে এর স্বপক্ষে কোনওরকম লিখিত প্রমাণাদি তাঁর কাছে না থাকায় গিনেস বুকের রেকর্ডে জায়গা পাননি সেলিনো ভিলানুভা জারামিলো। ২০ বছর আগে বাড়িতে অগ্নিকাণ্ডের জেরে পুড়ে খাক হয়ে যায় তাঁর জন্মের সংশাপত্র। এদিকে নাবি তাজিমার মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গেই বিশ্বের প্রবীণতমার তালিকায় উঠে এলেন আরও এক জাপানি নারী। তিনি চিও ইয়োশিদা। তথ্যানুসারে তিনিই এখন বিশ্বের প্রবীণতমার শীর্ষে রয়েছেন। আর ১০ দিন পরেই ১১৭ বছর বয়স হবে তাঁরা।