Advertisement
Advertisement
Super Typhoon

চরম বিপদ! বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী টাইফুনের তাণ্ডবে তছনছ ফিলিপিন্স

ল্যান্ডফলের সময় সুপার টাইফুন গনির গতি ছিল ঘণ্টায় ২৮০ কিলোমিটার।

World news in Bengali: World’s strongest storm in 2020 makes landfall in the Philippines | Sangbad Pratidin
Published by: Paramita Paul
  • Posted:November 1, 2020 10:50 am
  • Updated:November 1, 2020 10:55 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আর কত বিপদ আসবে ২০২০-তে! মহামারীর কবলে প্রায় গোটা বিশ্ব। এমন পরিস্থিতিতে একের পর এক প্রাকৃতিক দুর্যোগের মুখে পড়ছে বিভিন্ন দেশ। দিন কয়েক আগে ভূমিকম্পে তছনছ হয়েছে তুরস্ক। এবার রবিবার সকালে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী সুপার টাইফুন গনি (Super Typhoon Goni) আছড়ে পড়ল ফিলিপিন্সে। যারক জেরে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সে দেশের পূর্বদিক। এখনও ধ্বংসলীলা চালাচ্ছে সেই সুপার টাইফুন।

পূর্বাভাস আগেই ছিল। সেই মতোই রবিবার ভোররাতে ফিলিপিন্সের (Philipins) ক্যাটানডুয়ানসে গনির ল্যান্ডফল হয়। সে দেশের আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর, এর আগে এরকম ল্যান্ডফল দেখেনি সে দেশের বাসিন্দারা। তাও ঝড়ের চোখ ও অন্তরভাগ এখনও দেশের মধ্যে প্রবেশ করেনি। ফলে সে সময় যে কী ক্ষতি হবে, তা ভেবেই শিউরে উঠেছেন বাসিন্দারা। হাওয়া অফিস জানিয়ছে, আগামী ১২ ঘণ্টা অর্থাৎ রবিবার রাত বা সোমবার সকালের মধ্যে সুপার টাইফুনটি ফিলিপিন্সকে অতিক্রম করে যাবে। তার আগে অ্যালবে, লুজন. মেট্রো ম্যানিলাকে তছনছ করে দেবে গনি। দেশের রাজধানীতে প্রবল বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে প্রবল বৃষ্টিতে স্তব্ধ হয়েছে জনজীবন। ক্ষয়ক্ষতির বিস্তারিত হিসেব এখনও পাওয়া যায়নি।

Advertisement

Goni at philipins

Advertisement

[আরও পড়ুন : ফের ইসলামিক সন্ত্রাসবাদের লক্ষ্যে ফ্রান্স! এবার চার্চের সামনে যাজককে গুলি আততায়ীর]

জানা গিয়েছে, ল্যান্ডফলের (Landfall) সময় গনির গতি ছিল ঘণ্টায় ২৮০ কিলোমিটার। আপাতত তার গতি ঘণ্টায় ১৯৫ কিলোমিটার রয়েছে। তবে এর সর্বাধিক গতি হতে পারে ৩১০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা। যা এখনও পর্যন্ত বিশ্বের মধ্যে সর্বোচ্চ। ফিলিপিন্সে টাইফুনের দাপট অবশ্য নতুন নয়। প্রতি বছরই ভয়ানক টাইফুনের সাক্ষি থাকে দেশটি।

Philipins

২০১৩ সালে আছড়ে পড়েছিল সুপার টাইফুন হাইওয়ানে। ২০১৬ সালে তাণ্ডব চালায় সুপার টাইফুন মেরান্টি। কিছুদিন আগেই মেলাভের দাপটে প্রাণ গিয়েছে ২২ জনের। এর মধ্যে ফের সর্বোচ্চ শক্তিশালী সুপার টাইফুন আছড়ে পড়ল। তবে এবার আগেভাগেই সতর্ক হয়েছিল ফিলিপিন্স প্রশাসন। ২৪ ঘণ্টা আগেই বন্ধ হয়েছে বিমানবন্দর। উপকূলবর্তী এলাকা থেকে প্রায় ১০ লক্ষ মানুষকে সরানো হয়েছে। ফলে প্রশাসনের আশা, কিছুটা হলেও ক্ষয়ক্ষতি কমানো যাবে। 

[আরও পড়ুন : ৭০০ কিমি জুড়ে যানজট! লকডাউনের আগে প্যারিসের স্তব্ধ পথঘাট দেখে বিস্মিত গোটা বিশ্ব]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ