Advertisement
Advertisement

Breaking News

অল্পেতে ঝিমিয়ে পড়ছেন? তরতাজা থাকার জন্য এই কাজটি অবশ্যই করুন

কী কী করবেন, জেনে নিন।

Eat these foods to stay energetic all the day
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:July 30, 2018 8:17 pm
  • Updated:July 30, 2018 8:17 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কাজের প্রতি অনীহা? অন্য সময় যতটা মনোযোগে কাজকর্ম করেন, এখন আর সেভাবে পেরে উঠছেন না? এনার্জি কমছে? দিনে দিনে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন? এই সবই আজকের ফাস্ট লাইফের একটা বড়সড় সমস্যা। বর্তমানে ব্যস্ত শিডিউলের চাপে ঠিক মতো সময়ে খাওয়াটাই হয় না। নিজের জন্য সময়ও দিতে পারেন না অনেকেই। তাড়াহুড়ো করে খেতে গিয়ে স্বাস্থ্যকর ডায়েটে চলাও সম্ভব হয় না। তাই দিনে দিনে রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা কমছে। বাড়ছে অসুস্থতার প্রবণতা। এই জর্জরিত পরিস্থিতি থেকে বেরোতে চাইলে কিছু উপায় মেনে চলতে পারেন। চলুন দেখে নেওয়া যাক, ব্যস্ত শিডিউলেও সুস্থ থাকার চাবিকাঠি।

[দুইয়ের বেশি বাচ্চার জন্ম দিলে হতে পারে অ্যালঝাইমার, কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?]

ঘুম থেকে উঠেই অফিসে যাওয়ার তাড়া। আগের দিন লেট নাইট পার্টির পর ঘুমোতে দেরি হয়েছে। সকাল সকাল প্রাতরাশ তৈরির ঝামেলায় না গিয়ে এক কাপ চা পেটে পড়তেই বেরিয়ে পড়লেন। জ্যাম কাটিয়ে অফিসে ঢুকতে দেরি হওয়ায় ব্যাগে থাকা কুকিজের প্যাকেট দিয়েই পেট ভরালেন। একেবারে দুপুরবেলা ক্যান্টিনে গিয়ে লাঞ্চ। এভাবে দিনের পর দিন চললে তো শরীর সঠিক নিউট্রিশনই পাবে না। এক বেলার খাবার স্কিপ করার অর্থ শারীরিক দুর্বলতার দিকে এগিয়ে যাওয়া। তাই কষ্ট হলেও প্রাতরাশ করেই বাড়ি থেকে বেরনোর চেষ্টা করুন। যদি একান্তই খাওয়া না হয়, তাহলে প্রাতরাশ তৈরি করে টিফিন ক্যারিয়ারে নিয়ে কর্মক্ষেত্রে যান। খুব তাড়াতাড়ি শরীরকে সুস্থ করতে হলে মুইসলি খেতে পারেন। ওটস, শস্যদানা ও কর্ণফ্লেক্সের সংমিশ্রণে তৈরি মুইসলিতে প্রয়োজনীয় ভিটামিন, প্রোটিন, ক্যালোরি ফাইবার, আয়রন ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে। তাই নিয়মিত মুইসলি খেলে শরীরে বেশকিছু প্রয়োজনীয় উপাদানের ঘাটতি সহজেই মিটবে। সঠিক নিউট্রিশনের প্রভাবে ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠবেন আপনি। ত্বকে জেল্লা আসবে। কাজে উৎসাহ ফিরে পাবেন। বর্ষাকালে হঠাৎ হঠাৎ ঠান্ডাও লাগবে না।

Advertisement

সারাদিনের খাবারে প্রয়োজনীয় প্রোটিন ও ভিটামিনের মাত্রা ঠিক রাখতে না পারলেও প্রাতরাশ নিয়ম মেনে করুন। মুইসলিকে আরও লোভনীয় করতে মেশাতে পারেন মধু। বন থেকে সরাসরি সংগ্রহ করা মধুতে প্রয়োজনীয় মিনারেলস, ভিটামিন, অ্যামিনো অ্যাসিড রয়েছে। মুইসলির সঙ্গে তাই খানিকটা মধু মিশিয়ে নিতে পারেন। তাহলে আলাদা করে চিনির প্রয়োজন যেমন হবে না। পাশাপাশি শরীরে ক্যালোরির ঘাটতিও পূরণ হবে। তাছাড়া মুইসলিতে থাকা অন্যতম ওটস অল্প ক্যালোরির খাবার। ওটস অনেকটা সময় পেটকে ভরতি রাখে। পাশাপাশি কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়্ন্ত্রণে রাখে। দেহের ওজনও বাড়তে দেয় না। রক্তে চিনির পরিমাণ কমায়। ডায়াবেটিস প্রতিরোধে অপরিহার্য ওটস। তাই নিয়মিত ওটস খেলে ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে ওঠার সম্ভাবনা ১০০ শতাংশ।

Advertisement

[চেয়ারে দীর্ঘক্ষণ বসে কাজ, শিরদাঁড়ার ক্ষয় রুখতে মেনে চলুন এই উপায়]

শরীরকে সতেজ ও কর্মক্ষম রাখতে হলে নিয়মিত মিষ্টি ও ঠান্ডা পানীয় এড়িয়ে চলুন। পরিবর্তে শরীরকে প্রয়োজনীয় নিউট্রিশন দিতে গ্রিন টি রাখুন পানীয়ের তালিকায়। এটি মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়ায়। স্বাদ বদল করতে গ্রিন টি-র সঙ্গে সামান্য মধু ও লেবুর রস মিশিয়ে নিতে পারেন। এতে একঘেয়ে ভাব কাটবে। প্রাত্যহিক জল খাওয়ার পরিমাণ বাড়িয়ে দিন। শরীরে জমা হওয়া টক্সিন বের করতে জলের জুড়ি নেই। প্রতিদিন পর্যাপ্ত জল পানে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়বে। জমা টক্সিন বেরিয়ে গেলে আপনা থেকেই ঝরঝরে থাকবেন। এনার্জির মাত্রাও বাড়বে তরতরিয়ে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ