Advertisement
Advertisement
Rail

তৈরি রেলের নতুন রুট, হাওড়া থেকে সহজেই পৌঁছনো যাবে ওড়িশার এসব পর্যটন কেন্দ্রগুলিতে

পর্যটকরা সরাসরি যেতে পারবেন উদয়গিরি, রত্নাগিরি ও ললিতগিরিতে।

Indian Railways connects Odisha tourists spots with Howrah
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:September 1, 2020 6:02 pm
  • Updated:September 1, 2020 6:02 pm

সুব্রত বিশ্বাস: এবার ৮২ কিলোমিটারের নতুন রেলপথে সরাসরি যুক্ত হল হাওড়া-পারাদ্বীপ। বাণিজ্যে লক্ষ্মীলাভের পথ প্রশস্ত হওয়ার পাশাপাশি, এর ফলে ওড়িশার উদয়গিরি, রত্নগিরি ও ললিতগিরিতে আরও সহজে পৌঁছতে পারবেন পর্যটকরা। করোনা আবহে আপাতত ওই রুটে মালগাড়ি চালানো হচ্ছে, যাত্রীবাহী ট্রেন পরিষেবা শুরু হলেই ভ্রমণের আনন্দ নিতে পারবেন পর্যটকরা।

[আরও পড়ুন: তিন হাজার কোটির ‘স্ট্যাচু অফ ইউনিটি’র সুরক্ষায় ২৭২ জন CISF জওয়ান, সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের]

জানা গিয়েছে, নয়া রুট চালু হওয়ায়, হাওড়া থেকে পণ্যবাহী মালগাড়িতে এবার সরাসরি পারাদ্বীপ বন্দরে পণ্য আনা নেওয়া করা যাবে। এতকাল বাণিজ্য তরী ধরতে হাওড়া-কটক হয়ে পারাদ্বীপ পৌঁছতে বেশি সময় লাগত। এবার হাওড়া-চেন্নাই রুটে যুক্ত পারাদ্বীপ-হারিদাসপুর নতুন রেল লাইন হওয়ায় হাওড়া-পারাদ্বীপের মাঝে ৪০.৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পথ কমে যাওয়ায় সময় দু’ঘন্টা কম লাগবে মালগাড়ি পৌঁছতে। কমবে পণ্য পরিবহণের ভাড়াও। পরদ্বীপ থেকে লৌহ আকরিক থেকে, কয়লা, পেট্রোলিয়াম সামগ্রী প্রচুর পরিমাণে রপ্তানি হয়। ফলে নতুন রেলপথ হওয়ায় বিশেষ সুবিধা হয়েছে।

Advertisement

হাওড়া-চেন্নাই রুটের হারিদাসপুর থেকে ৮২ কিলোমিটার নতুন রেলপথে শুধু পণ্য পরিবহণে সুবিধা হবে না। পর্যটন শিল্পের পথ প্রশস্ত হবে। ইস্ট কোস্ট রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশলেন্দ্র জানান, নতুন এই রেলপথে পারাদ্বীপ-হারিদাসপুর এর মাঝে নতুন ন’টি স্টেশন তৈরি হয়েছে। যেখান দিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে পর্যটকরা সরাসরি যেতে পারবেন উদয়গিরি, রত্নাগিরি ও ললিতগিরিতে। জনপ্রিয় এই পর্যটনস্থলগুলি রেলপথে যুক্ত হওয়ায় পাশাপাশি ওড়িশার কেন্দ্রাপাড়া জেলার সঙ্গে প্রথম যোগ হল রেলপথ। বর্ধিষ্ণু এই জেলা এতকাল প্রত্যন্ত ছিল। চান্দিখল থেকে পারাদ্বীপের মাঝে দীর্ঘ সড়কপথের মধ্যে যান বহনের বোঝা কিছুটা কমবে।

Advertisement

উল্লেখ্য, পারাদ্বীপ-হারিদাসপুর রেলপথের দাবি বহুদিনের। ১৯৯৬-৯৭ সালের রেল বাজেটে এই রেলপথটি মঞ্জুর হলেও কাজ শুরু হয়নি। ১৯৯৯ সালে রেলমন্ত্রী নীতিশ কুমার শিল্যান্যাস করার পর কাজ শুরু হয়নি। কেন্দ্রে সরকার বদলে এই ৮২ কিলোমিটার নতুন রেলপথ নির্মাণের কাজ শুরু হয়। মালগাড়ি চলাচলের পরিকঠামোয় নির্মান হয় বৈদ্যুতিক ব্রডগেজ এই লাইন। এজন্য ১৭৭৪৪ একর জমি অধিগ্রহণ করতে হয়েছে। সম্প্রতি লাইনটি মালগাড়ি চলাচলের জন্য খোলা হলেও তাতে যাত্রীবাহী ট্রেন চালানোর দাবি উঠেছে। দাবি তীব্র হতেই ভাবনা শুরু করেছে রেল।

[আরও পড়ুন: বৈষ্ণোদেবী দর্শনে পৌঁছে যেতে পারবেন হেলিকপ্টারেও, জেনে নিন কীভাবে করবেন বুকিং]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ