Advertisement
Advertisement
Corona Vaccine

ভ্যাকসিন এলেও করোনা মহামারীকে সহজে হারানো যাবে না, আশঙ্কা প্রকাশ WHO প্রধানের

কেন বললেন এমন কথা?

Bengali news: Vaccine alone will not be enough to stop Corona Pandemic, says WHO chief | Sangbad Pratidin
Published by: Paramita Paul
  • Posted:November 16, 2020 9:33 pm
  • Updated:November 16, 2020 10:06 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভ্যাকসিন এলেই করোনা মহামারী থেকে রেহাই মিলবে না। সোমবার সতর্ক করে দিলেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা হু-এর প্রধান টেডরোজ আধানম ঘেব্রিয়েসুস (Tedros Adhanom Ghebreyesus)। তাঁর সকর্কবাণী, ভ্যাকসিন এলেই করোনা থেকে মুক্তি মিলবে বা স্বাভাবিক জীবন যাপনে ফিরে যাওয়া যাবে, এমনটা আশা করা উচিত নয়। তবে কীভাবে স্বস্তি মিলতে পারে, সেই পথও বাতলে দিয়েছেন তিনি।

বিশ্বজুড়ে করোনার টিকি আবিস্কারের প্রতিযোগিতা চলছে। রাশিয়া ও চিন ভ্যাকসিন এনে ফেলেছে বলে দাবি। আবার অক্সফোর্ড, ফাইজার, মর্ডানাও টিকা বাজারে আনার শেষ ধাপে পৌঁছে গিয়েছে। অনেকেই মনে করছেন প্রতিষেধক এসে গেলেই এই মাস্কবন্দি জীবন থেকে রোই মিলবে। আবার আগের মতো স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যেতে পারবেন। সে সব আশায় জল ঢেলে দিলেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান।

Advertisement

[আরও পড়ুন : ‌কোভ্যাক্সিনের চূড়ান্ত পর্যায়ের ট্রায়াল শুরু, আশা উজ্জ্বল করে ঘোষণা ভারত বায়োটেকের]

মহামারি করোনার প্রাদুর্ভাব শুরুর বর্ষপূর্তি হতে চলল। ইতিমধ্যে সাড়ে পাঁচ কোটি মানুষ করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। ১৩ লক্ষেরও বেশি মারা গিয়েছেন। শনিবার গোটা বিশ্বে একদিনে সর্বোচ্চ ৬ লক্ষ ৬০ হাজার ৯০৫ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়। এর আগে গত শুক্রবার ৬ লক্ষ ৪৫ হাজার ৪১০ জন আক্রান্তের হদিশ মেলে। যা গত ৭ নভেম্বরের ৬ লক্ষ ১৪ হাজার ১৩ জন করোনা রোগী শনাক্তের রেকর্ড ভেঙেছিল। এমন পরিস্থিতিতে সতর্ক করলেন হু প্রধান। কী বললেন তিনি?

Advertisement

[আরও পড়ুন : কতটা কার্যকরী কোভিড ভ্যাকসিন? বুঝতেই কেটে যাবে একটা বছর, অনুমান আবিষ্কারকদের]

হু-এর প্রধান টেডরোজ আধানম ঘেব্রিয়েসুস বলেন, “একটি ভ্যাকসিন আমাদের হাতে থাকা অন্য সরঞ্জামগুলোর পরিপূরক হিসেবে কাজ করবে, তবে সেগুলো প্রতিস্থাপন করবে না। একটি ভ্যাকসিন একার শক্তিতে এই মহামারিকে থামাতে পারবে না।” অর্থাৎ ভ্যাকসিন এলেও নিয়মিত পরীক্ষা, কন্ট্র্যাক্ট ট্রেসিং, মাস্ক-স্যানিটাইজার ব্যবহার ও সামাজিক দূরত্ববিধি মেনেই চলতে হবে। তাঁর কথায়, “ভাইরাসটির সংক্রমণ ছড়ানোর অনেক উপায় থাকছে। তাই নজরদারি চালিয়ে যাওয়া দরকার।” আধানম আরও জানিয়েছেন, “প্রাথমিকভাবে এই ভ্যাকসিনের সরবরাহকে সীমাবদ্ধ করা হবে। অগ্রাধিকার দেওয়া হবে স্বাস্থ্যকর্মী, বয়স্ক ব্যক্তি এবং ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীকে। আশা করছি এতে করে মৃত্যুর সংখ্যা হ্রাস পাবে এবং স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা পরিস্থিতি মোকাবিলায় মানিয়ে নিতে পারবে।”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ