Advertisement
Advertisement
WB Assembly Polls 2021

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে শুক্রবারই রাজ্যে আসছেন বিশেষ পর্যবেক্ষক ও পুলিশ পর্যবেক্ষক

জেলাশাসকদের সঙ্গে বৈঠক করবেন তাঁরা।

Police observer and special observer will come to bengal on friday | Sangbad Pratidin
Published by: Tiyasha Sarkar
  • Posted:March 4, 2021 9:27 pm
  • Updated:March 4, 2021 9:27 pm

শুভঙ্কর বসু: শুক্রবার রাজ্যে আসছেন নির্বাচনের বিশেষ পর্যবেক্ষক অজয় নায়েক ও পুলিশ পর্যবেক্ষক বিবেক দুবে।
রাজ্যে পা রাখার পরই প্রথম দফায় নির্বাচন হবে যে জেলাগুলিতে সেখানকার জেলাশাসকদের সঙ্গে বৈঠক করবেন তাঁরা। এডিজি আইন শৃঙ্খলা ও বিভিন্ন এজেন্সির প্রতিনিধিদের সঙ্গেও তাঁদের বৈঠক করার কথা রয়েছে।

এবার পর্যবেক্ষকদের হাতে বিশেষ ক্ষমতা ন্যস্ত করেছে কমিশন (Election Commission of India)। বলতে গেলে বিশেষ পর্যবেক্ষকদের উপরই নির্ভর করছে ভোট কতটা সফল হবে। বুধবার বৈঠকে একথা তাঁদের একথা স্পষ্ট করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। ফলে এবার পর্যবেক্ষকদের কার্যত অন্য মুডে দেখা যাবে বলে মনে করছে অভিজ্ঞমহল। এবার ভোটে অন্য ব্যবস্থাপনায় নজরদারির পাশাপাশি বাহিনী নিয়োগ পরিকল্পনা অনুমোদন করবেন পর্যবেক্ষকরা। পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনে বরাবরের অভিযোগ, বিপুল সংখ্যক আধাসেনা মজুত থাকলেও তাদের সঠিকভাবে ব্যবহার করা হয় না। এই ব্যবস্থায় আগেই পরিবর্তন এনেছে কমিশন। এতদিন এডিজি আইনশৃঙ্খলা তথা রাজ্য পুলিশের নোডাল অফিসারের উপর কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দায়িত্ব থাকত । সিআরপি’র ডিজি পদের এক অফিসারকে আগেই একাজে যুক্ত করেছে কমিশন। এবার আরও একধাপ এগিয়ে পর্যবেক্ষকদেরও একাজে যুক্ত করল কমিশন।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ‘বহিরাগত-অরাজনৈতিক প্রার্থী হলে প্রচার নয়’, হুমকি বালির তৃণমূল নেতাদের]

সূত্রের খবর, ভোটে (Assembly Election 2021) আধাসেনা ও রাজ্য পুলিশ আধিকারিকদের মোতায়েনের পরিকল্পনায় চূড়ান্ত অনুমোদন দেবেন পর্যবেক্ষকরা। জানা গিয়েছে, রাজ্য ভিত্তিক মোতায়েন পরিকল্পনা দেখবেন বিশেষ এবং পুলিশ পর্যবেক্ষকরা। এছাড়াও জেলা ভিত্তিক মোতায়েনের যে পরিকল্পনা রয়েছে তা বলবৎ করার আগে সংশ্লিষ্ট জেলায় নিযুক্ত পর্যবেক্ষকদের দিয়ে যাচাই করে নিতে হবে। তাঁরা ছাড়পত্র দিলে তবেই মোতায়েন হবে বাহিনী। অতএব এবার পর্যবেক্ষক কাঁধে গুরু দায়িত্ব। আর সেই দায়িত্ব পালনের লক্ষ্যেই আগামিকাল রাজ্যে পা রাখছেন দুই বিশেষ পর্যবেক্ষক।

Advertisement

উল্লেখ্য, এদিন পক্ষপাতিত্বের অভিযোগে টালিগঞ্জের ওসির অপসারনের দাবিতে রাজ্য মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তরের দ্বারস্থ হয়েছে বাম, কংগ্রেস ও ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের সংযুক্ত মোর্চা। তাঁদের তরফে সিপিএম নেতা রবীন দেবের অভিযোগ, একজন সরকারি আধিকারিক হয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় উদ্দেশ্যপ্রনোদিতভাবে রাজনৈতিক পোস্ট করে চলেছেন টালিগঞ্জ থানার ওসি। ফলে অবিলম্বে তাঁকে নির্বাচনের সমস্ত কাজ থেকে সরিয়ে দিতে হবে। এছাড়াও নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী-তেজস্বী সাক্ষাতে নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগে এদিন ফের সরব হয়েছে তাঁরা। বিভিন্ন জায়গায় সংযুক্ত মোর্চআর কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্য মামলা দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ রবীন দেবের।

অন্যদিকে তৃণমূল নেতা তথা বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে ভোট মিটে যাওয়া পর্যন্ত গৃহবন্দি করা, ভোটকর্মীদের নিরাপত্তা এবং তাঁদের টিফিনের ব্যবস্থা-সহ একাধিক দাবিতে রাজ্য মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তরে ডেপুটেশন দিয়েছে ভোটকর্মী ঐক্যমঞ্চ। যদিও রাজ্যের অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক সঞ্জয় বসু জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই ভোট কর্মীদের টিফিনের জন্য ১৭০ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।

[আরও পড়ুন: ‘বহিরাগত-অরাজনৈতিক প্রার্থী হলে প্রচার নয়’, হুমকি বালির তৃণমূল নেতাদের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ