Advertisement
Advertisement

Breaking News

Fish

বাড়ল উৎপাদন, জলাধারে খাঁচা তৈরি করে মাছ চাষে ব্যাপক সাফল্য রাজ্যের

কংসাবতী রিজার্ভারে ৩২টা খাঁচা করা হয়েছে।

With new techniques, fish rearing picks up in West Bengal । Sangbad Pratidin
Published by: Sayani Sen
  • Posted:December 1, 2023 9:22 pm
  • Updated:December 1, 2023 9:22 pm

স্টাফ রিপোর্টার: জলাধারে খাঁচা তৈরি করে নয়া প্রক্রিয়ায় মাছ চাষে সাফল‌্য রাজ্যের। কংসাবতী জলাধারে সেই প্রক্রিয়া সফল হয়েছে বলে বৃহস্পতিবার জানান রাজ্যের মৎস‌্যমন্ত্রী বিপ্লব রায়চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘‘কংসাবতী রিজার্ভারে মাছ চাষ করা হয়েছে খাঁচায়। ৩২টা খাঁচা করা হয়েছে ওই জলাধারে। সেখানে মাছচাষ হয়েছে। সবমিলিয়ে ৮০ টন মাছ পাওয়া যাবে বলে জানা গিয়েছে। মূলত পাঙাশ মাছ। যেগুলোর ওজন হবে ৮০০ গ্রাম থেকে এক কেজি পর্যন্ত।’’ তবে শুধু এই জলাধারেই নয়, বাঁকুড়ার কুমারী ড‌্যাম এবং নিউটাউনের নবাবপুরের জনস্বাস্থ‌্য ও কারিগরি দপ্তরের একটি জলাধারে খাঁচায় মাছ চাষের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এতে অনেক বেশি মাছ উৎপাদন করা যাচ্ছে বলে জানান মন্ত্রী।

এছাড়াও পশ্চিম বর্ধমানের কয়লা খাদানেও মাছ চাষ করছে মৎ‌স‌্যদপ্তর। রানিগঞ্জ, জামুড়িয়া, অন্ডাল, সালানপুর, বারাবনি, পাণ্ডবেশ্বরের মোট ২৩ টি খাদানে মাছ চাষ করা হচ্ছে। অনেকদিন আগে থেকেই এই চাষ শুরু হয়েছে। ফেব্রুয়ারি মাস থেকে তা তোলা হবে। মূলত রুই-কাতলা চাষ করা হয়েছে সেখানে বলেই খবর। পাশাপাশি পাঁচ একরের বেশি রাজ্যের যে সাড়ে ১২ হাজার পুকুর রয়েছে, সেখানেই মাছের চারা ছাড়া হবে বলে জানা গিয়েছে। সেক্ষেত্রে মাছ উৎপাদনে রাজ‌্য অনেকটাই স্বনির্ভর হয়ে উঠবে বলে মনে করা হচ্ছে। নবান্ন সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই আমাদের রাজ্যে মাছের আমদানি কমেছে। রপ্তানি বেড়েছে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: টেলিফোন বুথ থেকে ৭ কলেজের মালিক, রকেট গতিতে উত্থান ডোমকলের বিধায়ক জাফিকুলের]

বিদেশে মাছ রপ্তানি করে ১১-১২ সালে যেখানে রাজ্যের কোষাগারে এসেছিল ১৭৩৪ কোটি টাকা, ২১-২২ সালে তা বেড়ে হয়েছে ৬১৮৩ কোটি টাকায়। তবে জলাশয়ে মাছ চুরি রুখতে এক অভিনব পন্থা নিচ্ছে মৎস‌্য দফতর। ঠিক হয়েছে, চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের ক্ষেত্রে ‘নিজের মজুরি নিজে অর্জন করো’, এই পদ্ধতিতে বেতন দেওয়ার সিদ্ধান্ত হতে চলেছে। মৎস‌্যদপ্তর সূত্রে খবর, সরকারি জলাশয়গুলোর মাছ চুরি আটকাতে প্রায় ১১০০ চুক্তিভিত্তিক কর্মচারী নিয়োগ হয়েছিল বছর কয়েক আগে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, তাঁরা থাকা সত্ত্বেও মাছ চুরি আটকানো যাচ্ছে না। মনে করা হচ্ছে এই কর্মীদের কাজে গাফিলতি থেকে যাচ্ছে। তাই তাঁদের ফাঁকিবাজি রুখতেই নয়া পদক্ষেপ নিতে চলেছে রাজ‌্য সরকার।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ধর্ষণে অভিযুক্তের স্ত্রী-ই মামলার সাক্ষী! ‘তদন্তের নামে প্রতারণা’, পুলিশকে ভর্ৎসনা হাই কোর্টের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ