Advertisement
Advertisement

র‌্যাফটিং, ক্যাম্পিং থেকে হাইকিং! উত্তরের টি টুরিজমে মজে দেশ-বিদেশের পর্যটকরা

চা বাগানের রিসর্ট ও বাংলোগুলোতে ইংরেজি বর্ষবরণ পর্যন্ত ঠাঁই নেই দশা।

Tea Tourism from North Bengal in trend | Sangbad Pratidin

ছবি: প্রতীকী

Published by: Paramita Paul
  • Posted:December 9, 2023 3:12 pm
  • Updated:January 19, 2024 12:25 pm

২৫ জানুয়ারি ন্যাশনাল ট্যুরিজম ডে। দেশের অর্থনীতিকতে চাঙ্গা করতে ট্যুরিজম খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সাধারণ মানুষকে ট্যুরিজমের প্রতি আকৃষ্ট করতেই এই দিবস উদযাপন মোদি সরকারের। ন্যাশনাল ট্যুরিজম ডে উপলক্ষ্যে ঘুরতে যাওয়ার সন্ধান সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটালে। 

স্টাফ রিপোর্টার, শিলিগুড়ি: উত্তরের পর্যটন শিল্পকে ভিন্ন দিশা দেখানোর পথে ‘টি ট্যুরিজম’। ক্রমশ বাড়ছে ওই পর্যটন ক্ষেত্রের আকর্ষণ। এবার পরিস্থিতি এমনই যে চা বাগানের রিসর্ট ও বাংলোগুলোতে ইংরেজি বর্ষবরণ পর্যন্ত ঠাঁই নেই দশা।

Advertisement

বিভিন্ন টুর অপারেটর সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, গত এক বছরে উত্তরের পাহাড়-সমতলের চা বাগানে পর্যটকদের জন্য বিলাসবহুল বাংলো ও রিসর্টের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২৩টি। ইতিমধ্যে সেগুলোতে পর্যটকরা থাকতে শুরু করেছেন। শুধু বড় চা বাগান নয়, ছোট চা বাগানেও রিসর্টের সংখ্যা বাড়ছে। কিছু চা বাগানের ধারেপাশে হোম-স্টে গড়ে উঠেছে। সব মিলিয়ে ধীরে ধীরে ‘টি টুরিজমে’র প্রসার ঘটছে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: বাংলার মিষ্টি পদের বিদেশ পাড়ি, নয়াবাজারের দইয়ের স্বাদে মজেছে সুদূর আমেরিকা]

গত বছর কলকাতায় অনুষ্ঠিত দু’দিনের বিশ্ব বাংলা বাণিজ্য সম্মেলনে ওই বিষয়টিতে রাজ্যের তরফে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়ার পরই দ্রুত ছবি পালটাতে শুরু করেছে বলে মনে করেন কনফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান স্মল টি গ্রোয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের (সিস্টা) কর্তারা। সিস্টার সর্বভারতীয় সভাপতি বিজয়গোপাল চক্রবর্তী বলেন, “টি ট্যুরিজম নতুন দিগন্তের সূচনা করেছে। অনেকেই এগিয়ে আসতে শুরু করেছে। অনেক বড় চা বাগানে আগে থেকে পরিকাঠামো থাকায় তারা নেমে পড়েছে। ছোট চা বাগান মালিকরাও হোম-স্টে তৈরি করতে তৎপর হয়েছেন।’’

জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যে দার্জিলিং পাহাড়ের গোমতী, আর্য, মেফেয়ার, গ্লেনবার্ন চা বাগান অভিনব টি টুরিজমের সূচনা করেছে। গ্লেনবার্নে র‌্যাফটিং, ক্যাম্পিং, পাখি দেখা এবং হাইকিংয়ের সুযোগ রয়েছে। পিছিয়ে নেই সমতলের ডুয়ার্স। সেখানে বড়দিঘি, রামশাই, নিউ সাইলি, ফাঁসখাওয়া এবং কোচবিহারের মেখলিগঞ্জ চা বাগানের বাংলো এবং রিসর্ট ইতিমধ্যে জনপ্রিয়তা পেয়েছে। শিল্পপতি তথা ন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্সের উত্তরবঙ্গের চেয়ারম্যান পুরণজিত বক্সি গুপ্ত জানান, এটা খুবই ইতিবাচক দিক। চা পর্যটনের হাত ধরে চা উৎপাদন সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানোর সুযোগ মিলছে। বিকল্প রোজগারের পথ খুলেছে। টুর অপারেটরদের সূত্রে জানা গিয়েছে, দেশ-বিদেশের পর্যটকদের বেশিরভাগই নির্জন হোম স্টে বা কটেজ খোঁজেন। পর্যটকদের এমন ভাবনা দেখে সম্প্রতি তরাইয়ের পুটং, নকশালবাড়ি এবং লোহাগড় চা বাগান কর্তৃপক্ষ টি টুরিজমে এগিয়ে এসেছেন।

[আরও পড়ুন: বাংলার মিষ্টি পদের বিদেশ পাড়ি, নয়াবাজারের দইয়ের স্বাদে মজেছে সুদূর আমেরিকা]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ