প্রতীকী ছবি
সুকুমার সরকার, ঢাকা: পাঁচ বছর আগে বাংলাদেশের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গণধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন এক গৃহবধূ। অভিযোগ ছিল, ভোটের ‘ফরমান’ না মানায় তাঁর উপর নির্যাতন চালানো হয়েছিল। এই ঘটনায় অভিযুক্ত ছিল ১৬ জন। সোমবার তাদের সাজা ঘোষণা করল আদালত। গণধর্ষণ মামলায় ১০ জনকে মৃত্যুদণ্ড ও ৬ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
এদিন দুপুরে নোয়াখালী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২-এর বিচারক (জেলা জজ) ফাতেমা ফিরদৌস এই রায় ঘোষণা করেন। দোষীদের মধ্যে ১০ জনকে মৃত্যুদণ্ড ও ৬ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এছাড়া তাদের ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও ২ বছর করে কারাদণ্ডের সাজা ঘোষণা করা হয়েছে। মৃত্যুদণ্ড পাওয়া আসামিরা হল- রুহুল আমিন, হাসান আলী, সোহেল, স্বপন, ইব্রাহিম খলিল, আবুল হোসেন, সালাউদ্দিন, জসিম উদ্দিন, মুরাদ এবং জামাল। এছাড়া যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পেয়েছে হানিফ, মহম্মদ চৌধুরী, বাদশা আলম, মোশারফ ও পলাতক আসামি মিন্টু। এদিন নোয়াখালী জেলা কারাগার থেকে মামলার ১৫ আসামিকে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে জেলা দায়রা আদালতের জেলখানায় আনা হয়।
২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হয়েছিল একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। ভোটের রাতে নোয়াখালীর সুবর্ণচরে এক গৃহবধূ গণধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন। স্বামী-সন্তানদের বেঁধে রেখে তাঁর উপর নির্যাতন চালানো হয়েছিল। নির্যাতিতার অভিযোগ ছিল, ভোটকেন্দ্রে থাকা ব্যক্তিদের পছন্দের প্রতীকে ভোট না দেওয়ার জেরে ওই হামলা ও ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। সেসময় দেশে-বিদেশে ব্যাপক আলোচিত হয় এই ঘটনাটি। এই কাণ্ডের পরদিন (৩১ ডিসেম্বর) নির্যাতিতার স্বামী বাদী হয়ে চর জব্বর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেছিলেন। যার শুনানি হল সোমবার।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.