সুকুমার সরকার, ঢাকা: বাংলাদেশে ক্রমেই বাড়ছে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা। গত চব্বিশ ঘণ্টায় নয়া রেকর্ড তৈরি করে দেশে মৃত্যু হয়েছে ১৯ জনের। মৃতদের মধ্যে ১২ জন পুরুষ ও ৭ জন মহিলা। মৃতদের মধ্যে ১৩ জন রাজধানী ঢাকার বাসিন্দা।
সরকারের তরফে সাধ্যমতো চেষ্টা করা হলেও কিছুতেই লাগাম টানা যাচ্ছে না সংক্রমণে। আক্রান্তের হিসাবে দক্ষিণ এশিয়ায় ভারত-পাকিস্তানের পেছনে থাকলেও সংক্রমণের হারে এশিয়ার অর্ধশতাধিক দেশের শীর্ষে এখন বাংলাদেশ। বুধবার আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৬ হাজার ৬৭৯ জন। বাংলাদেশে এই মৃত্যু ও আক্রান্তের জন্য দায়ী করা হয়েছে ঢিলেঢালা লকডাউনকে। এছাড়া ৫ লক্ষেরও বেশি প্রবাসী দেশে ফিরেছেন। এবং প্রত্যেকদিন প্রবাসীরা দেশে ফিরছেন। এহেন অবস্থায় উদ্বিগ্ন বাংলাদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকও। সপ্তাহখানেক আগে দেশে মৃত্যু ও আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যাওয়া স্বীকার করে তিনি বলেছেন, এর থেকে খুব সহজে নিস্তার মিলবে না। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, “ইদ সামনে থাকায় এখন স্বাভাবিকভাবেই মার্কেট খোলা হয়েছে। গার্মেন্টস খুলে যাওয়ায় কাজ হারানোর শঙ্কায় গ্রাম থেকে মানুষ দলে দলে ঢাকায় ছুটছে। কাজেই সংক্রমণ ও মৃত্যু যে বৃদ্ধি পাবে, এটি ধরেই নেওয়া যায়। তদুপরি ধরে নিতে জীবন ও জীবিকা দুটোই পাশাপাশি চলছে। বেঁচে থাকার জন্য অর্থের প্রয়োজন।”
বিশ্লেষকরা বলছেন, আগের তুলনায় সংক্রমণ বাড়লেও করোনা পরীক্ষার হার এখনও অন্যান্য দেশের তুলনায় কম। পিক আওয়ারেই লকডাউন শিথিল হওয়ায় ভয় আরও বাড়ছে। দেশে লকডাউন পরিস্থিতি বদলে যেতে শুরু করেছে। গণপরিবহণ ছাড়া সব ধরনের যানবাহনের দেখা মিলছে সড়কগুলোতে। কাঁচাবাজার তো আগেই খোলা ছিল, এর সঙ্গে চালু হয়েছে অন্যান্য দোকানপাটও। মার্কেটগুলোর সামনে বাড়ছে ভিড়। ঢাকার রাস্তাতেও শুরু হয়েছে যানজট। ফলে ক্রমশই কঠিন হয়ে যাচ্ছে দেশের পরিস্থিতি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.