সুকুমার সরকার, ঢাকা: করোনা ভাইরাসের হামলায় ত্রস্ত বাংলাদেশ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আপ্রাণ চেষ্টা করছে সরকার। কোভিড-১৯-এর সংক্রমণ রুখতে দেশজুড়ে চলছে আংশিক লকডাউন। এহেন পরিস্থিতিতে নিরাপত্তায় কিছুটা শিথিলতার সুযোগে বাংলাদেশে মাথাচাড়া দিয়েছে পাচারকারীরা। সম্প্রতি একটি নদীতে সংরক্ষিত লুপ্তপ্রায় ডলফিনের একটি ছিন্নভিন্ন দেহ ভেসে উঠে। বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বে রাউজান শহরের স্থানীয় লোকেরা গঙ্গার মিষ্টি জলের একটি ডলফিনের দেহ উদ্ধার করেন। সেটি দৈর্ঘ্যে ৬২ ইঞ্চি লম্বা। মৎস দপ্তরের আধিকারিক অবদুল্লা-আল-মানুন এই কথা জানিয়েছেন।
[আরও পড়ুন: ট্রেনে পিঁয়াজ ও জাহাজে করে বাংলাদেশে চাল পাঠাল ভারত]
লকডাউন চালু হওয়ার পর এনিয়ে দু’টি লুপ্তপ্রায় ডিলফিনের দেহ উদ্ধার হয়েছে বাংলাদেশে। মৎস দপ্তর সূত্রে খবর, মৃত ডলফিনটির শরীরে বেশ কয়েকটি গভীর ক্ষত চিহ্ন রয়েছে। সেটির শরীর থেকে মেদ বা চর্বি কেটে নেওয়া হয়েছে। এই চর্বি থেকে বহুমূল্য তেল তৈরি করা হয়। যার আন্তর্জাতিক বাজারে প্রচুর দাম। তাই চর্বির লোভে সংরক্ষিত ডলফিনের হত্যা করে চোরা শিকারীরা। অনেক স্থানীয় গ্রামের মানুষ বিশ্বাস করেন, ডলফিনের তেল রোগ প্রতিরোধ করে। তাই ভাল দামে এটি বিক্রি হয়। এদিকে, লকডাউনের জেরে অধিকাংশ মানুষেরই আয় বন্ধ। ফলে স্থানীয়দের একাংশও হাত মিলিয়েছে পাচারকারীদের সঙ্গে। মন্দার বাজারে সহজে টাকা আয় করতে অনেকেই ভুল পথে চলতে শুরু করেছে। মনে করা হচ্ছে, সাম্প্রতিক একের পর এক ঘটনা আসলে ডলফিন পাচারের এক বাড়বাড়ন্তের দিকে ইঙ্গিত করছে, যা প্রশাসনের চিন্তা বাড়াবেই।
উল্লেখ্য, করোনা মহামারির দাপট ঠেকাতে বাংলাদেশে আংশিক লকডাউন চলছে। ইদ উপলক্ষে কিছু দোকান ও শপিং মল খুললেও কাপড়ের কারখানা এখনও খোলেনি, পাশাপাশি, দিনমজুরদের আয় একেবারেই বন্ধ। ফলে, মাদকপাচার থেকে শুরু করে চোরা শিকার বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে টেকনাফ ও কক্সবাজারে ইয়াবা মাদক পাচারকারীদের রমরমা বেড়েছে। পুলিশ ও প্রশাসনের লাগাতার অভিযান সত্ত্বেও সীমান্তের ওপারে মায়ানমার থেকে ক্রমাগত নিষিদ্ধ মাদক পাচারের চেষ্টা চলছে।