সুকুমার সরকার, ঢাকা: করোনা ভাইরাসের আক্রমণে হাহাকার চলছে বিশ্বজুড়ে। প্রায় সবাই ঘরবন্দি অবস্থায় এর সংক্রমণ থেকে বাঁচার চেষ্টা করছেন। আর এই সুযোগেই বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় ডাকাতির ছক কষছে কিছু রোহিঙ্গা। শুক্রবার ভোরে তাদের মধ্যে দুজনকে খতম করলেন বাংলাদেশের র্যাপিড অ্যাকশন ফোর্স (RAB)-এর সদস্যরা। ঘটনাটি ঘটেছে বাংলাদেশের মাদকের রাজধানী হিসেবে পরিচিত কক্সবাজারের টেকনাফ।
ওই রোহিঙ্গা ডাকাতদের ডেরা থেকে উদ্ধার হয়েছে ১৫টি আগ্নেয়াস্ত্র, গোলাবারুদ ও দেশীয় ধারালো অস্ত্র। শুক্রবার ভোররাতে টেকনাফের ২৬ নম্বর জাদিমুরা ক্যাম্পের পাহাড়ি এলাকায় উভয়পক্ষের মধ্যে গুলিযুদ্ধ হয়। এর ফলে হাকিম (৩৫) ও রশিদ (৩০) নামে ওই কুখ্যাত রোহিঙ্গা ডাকাতরা খতম হয়। মৃতরা দু’জনেই জাকির গ্রুপের সক্রিয় সদস্য।
[আরও পড়ুন: করোনায় বিপর্যস্ত বাংলাদেশের স্বাস্থ্য পরিষেবা, আক্রান্ত প্রায় ১ হাজার স্বাস্থ্যকর্মী]
বৃহস্পতিবার গভীর রাতে কয়েকজন ডাকাত ২৬ নম্বর জাদিমুরা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পাহাড়ি এলাকায় জড়ো হয়ে ডাকাতির ছক কষছে বলে খবর আসে। এরপর সেখানে অভিযান চালান র্যাবের ১৫ নম্বর ব্যাটেলিয়নের সদস্যরা। তাঁদের উপস্থিতির কথা টের পেয়ে আচমকা গুলি চালাতে শুরু করে রোহিঙ্গা ডাকাতরা। আত্মরক্ষায় র্যাবের সদস্যও পালটা গুলি চালায়। গুলিযুদ্ধ থামার পর ঘটনাস্থলে তল্লাশি চালিয়ে দু’জন রোহিঙ্গাকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়। পরে তাদের টেকনাফ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।
র্যাব-১৫ টেকনাফ ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার বিমানচন্দ্র কর্মকার জানান, ওই এলাকার দুই কুখ্যাত ডাকাতের মৃত্যুতে সাধারণ রোহিঙ্গা ও স্থানীয় বাসিন্দা খুব খুশি হয়েছেন। এর জন্য প্রশাসনকে সাধুবাদ জানিয়েছেন।