সুকুমার সরকার, ঢাকা: বাংলাদেশ ছাত্র লিগ(BCL)-এর দুটি গোষ্ঠীর মধ্যে হওয়া সংঘর্ষের জেরে জখম হল কমপক্ষে ৩০ জন। ভাঙচুরের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের এফ রহমান ডর্মিটরি হলে প্রায় ২৬টি ঘর। এদিকে এই গন্ডগোলের ঘটনার জন্য এখনও পর্যন্ত মোট ৫২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এথনও পর্যন্ত উত্তেজনা বজায় থাকায় বিশ্ববিদ্যালয় চত্ত্বরে প্রচুর পুলিশকর্মীও মোতায়েন করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরেই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের দখল রয়েছে ছাত্র লিগের হাতে। প্রথমে কোনও সমস্যা না থাকলেও বর্তমানে আধিপত্য বিস্তারের লড়াইয়ে জড়িত হয়ে পড়েছে ছাত্রদের দুটি গোষ্ঠী। এর ফলে মাঝে মধ্যেই সংঘর্ষ হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় চত্ত্বরে। ককটেল বিস্ফোরণের ফলে আতঙ্কও ছড়াচ্ছে। গত সোমবার একটি তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গন্ডগোল হয়। এর জেরে মঙ্গলবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত দফায় দফায় দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষও হয়। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করলেও ঝামেলার সমাধান হয়নি।
[আরও পড়ুন: শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টা, মহিলাদের হাতে গণপিটুনি খেল যুবক ]
বুধবার বিকেলে ফের একজনকে মারধর করার ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায়। সোহরাওয়ার্দি ও শাহজালাল হলের সামনে লোহার রড ও কাচের বোতল-সহ বিভিন্ন জিনিস নিয়ে লড়াই শুরু করে ছাত্ররা। রাত দেড়টা থেকে প্রায় ভোর চারটে পর্যন্ত মারামারি হয় দু’পক্ষের মধ্যে। এর জেরে ৩০ জনের জখম হওয়ার খবর পাওয়া যায়। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে ও গন্ডগোলের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ ৫২ জনকে গ্রেপ্তার করে বলে খবর পাওয়া গিয়েছে।
[আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর বায়োপিকে হাসিনার চরিত্রে নুসরত, মুজিবের ভূমিকায় এই বাংলাদেশি অভিনেতা]
এদিকে বিষয়টি কেন্দ্র করে প্রবল আতঙ্ক ছড়িয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ পড়ুয়াদের মধ্যে। অনেকে বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন বলে খবর পাওয়া গিয়েছে। যদিও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে দাবি করে দোষীদের কড়া শাস্তি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।