সুকুমার সরকার, ঢাকা: বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অফ ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজির (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদের হত্যা নিয়ে ফুটছে বাংলাদেশ। হত্যাকারীদের শাস্তির দাবিতে চলছে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ মিছিল। এহেন পরিস্থিতিতে গোটা ঘটনার মধ্যে ‘ষড়যন্ত্রে’র গন্ধ পাচ্ছেন চট্টগ্রামের মেয়র আবু জাহেদ মহম্মদ নাছির উদ্দীন। তাঁর মতে, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যাতে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার না পান সেই ‘ষড়যন্ত্র করে’ আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ড সংগঠিত হয়ে থাকতে পারে।
[আরও পড়ুন: ত্রিপুরাকে ফেনী নদীর জল দেবে বাংলাদেশ, ঘোষণা হাসিনার]
শনিবার বিকেলে আওয়ামি লিগের এক দলীয় সভায় ষড়যন্ত্রের সম্ভাবনার কথা বলেন মেয়র। তিনি বলেন, ‘আবরার ফাহাদকে অত্যন্ত নির্মমভাবে পিটিয়ে খুন করা হয়েছে। নিঃসন্দেহে এটা অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। জড়িতরা অতি উৎসাহী হয়ে এই কাজ করে। এ বিষয়ে দলের কোনও নির্দেশ ছিল না। এখন খুঁজে বের করতে হবে তাদের দিয়ে এ কাজটা কেউ করিয়েছে কি না। কারণ, শান্তিতে নোবেল প্রাইজ পাওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামটিও সক্রিয়ভাবে বিবেচনায় ছিল।’ উল্লেখ্য, এই বছর শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদ আলি। প্রতিবেশী দেশ ইরিত্রিয়ার সঙ্গে দীর্ঘ দু’দশকের সংঘাতের অবসান ঘটিয়ে শান্তি প্রতিষ্ঠায় অসামান্য ভূমিকার স্বীকৃতি হিসেবে তাঁকে এই পুরস্কারে সম্মানিত করা হল।
ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পাদিত চুক্তির বিরোধিতা করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ায় খুন হন বুয়েটের ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরার ফাহাদ। রবিবার রাতে তাকে শের-ই-বাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষ থেকে ডেকে নিয়ে ২০১১ নম্বর কক্ষে বেধড়ক পেটান বুয়েট শাসকদলের নেতাকর্মীরা। আবরার হত্যায় উত্তাল হয়ে ওঠে সারাদেশ। চলছে ব্যাপক বিক্ষোভ। দু’পাশে সিসি ক্যামেরা বসাতে এবং শের-ই-বাংলা হলের প্রভোস্টকে প্রত্যাহার করতে হবে।
[আরও পড়ুন: ভাঁড়ে মা ভবানী, রাষ্ট্রসংঘে বন্ধ করা হল এসকেলেটর-কুলার]