Advertisement
Advertisement

Breaking News

মৃত্যুর আগেই কবরের বুকিং! অভিনব উদ্যোগ আবাসন মেলায়

কবর স্থলের অভাব মেটাতেই এই উদ্যোগ বলে দাবি আয়োজকদের৷

Avdance booking of Graver started in Bangladesh
Published by: Tanujit Das
  • Posted:February 11, 2019 7:44 pm
  • Updated:February 11, 2019 7:44 pm

সুকুমার সরকার, ঢাকা: সন্তানের ভরসায় ফেলে না রেখে মৃত্যুর আগেই নিজের কবর স্থানের আগাম বুকিং সারলেন ২০০ জন। সদ্য সমাপ্ত ঢাকার আবাসন মেলায় এমনই অভিনব উদ্যোগের সাক্ষী থাকলেন অনেকে৷ অর্থের বিনিময়ে আগে থেকেই নিজে নিজে কবর স্থল কিনে রাখলেন তাঁরা৷

[সেনাদের মধ্যে সংঘর্ষ, নিরাপত্তাহীনতায় বাংলাদেশে ঢুকছেন মায়ানমারের বৌদ্ধ শরণার্থীরাও ]

Advertisement

যদিও বিষয়টি নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে৷ কেউ কেউ বলছেন তবে কি ছেলে-মেয়ের উপর থেকে বিশ্বাস উঠে যাচ্ছে মা-বাবাদের? মৃত্যুর পর তাঁদের কবর দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে কি সন্তানের উপর আস্থা রাখতে পারছেন না তাঁরা? জানা গিয়েছে, এবার আবাসন মেলায় স্টল দিয়েছিল এমআইএস হোল্ডিংস নামের একটি প্রমোটারি সংস্থা। তাঁরাই মেলায় আগতদের আগাম কবরস্থল বুকিংয়ের সুযোগ করে দেয়৷ সংস্থার আধিকারিক আফরোজা সুলতানা বলেন, ‘‘প্রথমে অনেকেই আমাদের এই উদ্যোগকে বাঁকা চোখে দেখেন৷ কিন্তু পরে এটাকে গ্রহণ করেছেন বহু মানুষ৷ কারণ তাঁরা সচেতন হয়েছেন৷’’ সংস্থাটির তরফে জানানো হয়েছে, সরকারের সাহায্যে এই কবরের প্লট গড়ে তোলা হয়েছে৷ জমির আকার ভেদে দাম ধার্য করা হয়েছে৷ তিন লক্ষ টাকা থেকে ২৫ লক্ষ টাকা ধার্য করা হয়েছে প্লটের দাম৷ মেলায় আগত এক ব্যক্তি বলেন, ‘‘ঢাকা শহরে কবরের স্থানের যে আকাল, সে কথা মাথায় রেখে এই উদ্যোগ সত্যি ব্যতিক্রম৷’’

Advertisement

[সম্পর্কের উন্নতিতে নয়া পদক্ষেপ, একাধিক চুক্তি ভারত-বাংলাদেশের]

বর্তমানে ঢাকা শহরে ছ’টি কবর স্থান রয়েছে। সবচেয়ে বড় কবর স্থানটি রয়েছে আজিমপুরে৷ যেখানে ষাট হাজার মানুষকে কবর দেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে৷ সেখানেই সমাধিস্থ করা হয়েছে ভাষা আন্দোলনের সৈনিক সালাম, বরকত, রফিক-সহ অন্যান্যদের৷ গুলশানের কবর স্থানটি আকারের দিক থেকে দ্বিতীয়৷ সেখানে ২০ হাজার জনকে কবর দেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। সেখানেই সমাধিস্থ করা হয়েছে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মা, কাকা, তিন ভাই ও দুই বউদিকে৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ