সুকুমার সরকার, ঢাকা: গত মার্চ মাসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) সফর ঘিরে বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠে বাংলাদেশ। ওই সময় সংঘর্ষে প্রাণ হারান অন্তত ১৮ জন। তারপর থেকেই অভিযুক্তদের ধরপাকড় শুরু হয়েছে। বিক্ষোভ-সমাবেশের ঘটনায় ছাত্র, যুব ও শ্রম অধিকার পরিষদের এখন পর্যন্ত ৫৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, গ্রেপ্তার করা হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের ছাত্র ও ডাকসুর সমাজসেবা সম্পাদক আকতার হোসেনকে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাঁদের তুলে নিয়ে গিয়েছে বলে দাবি করেছে দলটি। গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন ছাত্রী, কিশোর, চাকুরিজীবী-সহ অন্তত ১০ জন। তাঁদের নাম মামলার এজাহারে নেই। মামলাগুলো তদন্ত করছে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখা। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে পরিষদের আহ্বায়ক ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “সবক’টি মামলাই মিথ্যা এবং সাজানো। গোয়েন্দা সংস্থা থেকে আগেই সতর্ক করা হয়েছিল। বলা হয়েছিল রাস্তায় নামলেই কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা জানাই সভা-সমাবেশ গণতান্ত্রিক অধিকার এবং কর্মসূচি পালন করব। সে অনুযায়ী গত ২৫ মার্চ আমরা মতিঝিলে মিছিল করি। সেখান থেকেই আমাদের ৩৮ জনকে পুলিশ ধরে নিয়ে যায়।”
উল্লেখ্য, গত ২৬ ও ২৭ মার্চ বাংলাদেশে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর উপলক্ষে ও মুজিববর্ষ পালন ঢাকা যান তিনি। সেই সময় জামাত ও বিএনপি প্রতিবাদ শুরু করেছিল। এর মধ্যে পাকিস্তানের চক্রান্ত রয়েছে বলেও মনে করা হচ্ছে। বাংলাদেশের সংসদের তরফে এক টুইটে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছিল পাকিস্তান দূতাবাস ও হেফাজত-এ-ইসলামের মধ্যে কোনও যোগসূত্র রয়েছে। প্রসঙ্গত, কট্টরপন্থী হেফাজতই প্রথম এই ব্যাপারে প্রতিবাদ শুরু করার ডাক দিয়েছিল। সেই সময়ই বাংলাদেশ সংসদের ইঙ্গিত ছিল, ওই প্রতিবাদ শুরুর করতে গোপনে আর্থিক মদত জুগিয়েছে ঢাকার পাক দূতাবাসও। একে আইএসআইয়ের চক্রান্ত বলে তোপ দেগে তার নিন্দাও করা হয় সেই টুইটে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.