Advertisement
Advertisement
Hilsa

ইলিশ শিকারে নিষেধাজ্ঞা জারি করল বাংলাদেশ, টান পড়তে পারে বাজারে

নিষেধাজ্ঞা অমান্য করলে রয়েছে কড়া শাস্তির বিধান।

Bangladesh bans Hilsa hunting in six districts | Sangbad Pratidin
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:March 1, 2022 11:41 am
  • Updated:March 1, 2022 11:41 am

সুকুমার সরকার, ঢাকা: ফের ইলিশ শিকারে নিষেধাজ্ঞা জারি করল বাংলাদেশ (Bangladesh)। ফলে টান পড়তে পারে বাজারে। শুধু খোকা ইলিশ নয়, দেশের ছ’টি জেলায় সমস্ত ধরনের মাছ শিকারে বিধিনিষেধ জারি করেছে প্রশাসন। মাছের বংশবৃদ্ধির জন্যই এই পদক্ষেপ বলে খবর।

[আরও পড়ুন: বাংলাদেশে অমুসলিম পড়ুয়াদের হিজাব পরানো চলবে না, দাবি হিন্দু মহাজোটের]

প্রশাসন সূত্রে খবর, বাংলাদেশের ইলিশ সম্পদ উন্নয়নে ও খোকা ইলিশ সংরক্ষণের জন্য আজ অর্থাৎ মঙ্গলবার থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত দুই মাস দেশের দক্ষিণাঞ্চলীয় ৬ জেলার ৫টি অভয়াশ্রমে ইলিশ-সহ সব ধরনের মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। এ নিষেধাজ্ঞার আওতায় বরিশাল, চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর, ভোলা, শরিয়তপুর ও পটুয়াখালি জেলার ইলিশ অভয়াশ্রম সংশ্লিষ্ট নদ-নদীতে ইলিশ-সহ সব ধরনের মাছ ধরা বন্ধ থাকবে।

Advertisement

এ পাঁচটি অভয়াশ্রম হচ্ছে- চাঁদপুর জেলার ষাটনল থেকে লক্ষ্মীপুর জেলার চর আলেকজান্ডার পর্যন্ত মেঘনা নদীর নিম্ন অববাহিকার ১০০ কিলোমিটার এলাকা, ভোলা জেলার মদনপুর, চর ইলিশা থেকে চর পিয়াল পর্যন্ত মেঘনা নদীর শাহবাজপুর শাখা নদীর ৯০ কিলোমিটার এলাকা , ভোলা জেলার ভেদুরিয়া থেকে পটুয়াখালী জেলার চর রুস্তম পর্যন্ত তেতুলিয়া নদীর প্রায় ১০০ কিলোমিটার এলাকা, শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া ও ভেদরগঞ্জ উপজেলা এবং চাঁদপুর জেলার মতলব উপজেলার মধ্যে অবস্থিত পদ্মা নদীর ২০ কিলোমিটার এলাকা ও বরিশাল জেলার হিজলা, মেদেন্দীগঞ্জ ও বরিশাল সদর উপজেলার কালাবদর, গজারিয়া ও মেঘনা নদীর প্রায় ৮২ কিলোমিটার এলাকা।

Advertisement

মৎস্য সুরক্ষা ও সংরক্ষণ আইন ১৯৫০- অনুযায়ী ৫টি অভয়াশ্রমে প্রতি বছর মার্চ-এপ্রিল দুই মাস ইলিশ, জাটকা-সহ (২৫ সে.মি./১০ইঞ্চি আকারের ইলিশ) সব ধরনের মাছ ধরা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ থাকে। এ সময় অভয়াশ্রমে মাছ আহরণ আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। আইন অমান্য করলে কমপক্ষে ১ বছর থেকে সর্বোচ্চ ২ বছর সশ্রম কারাদণ্ড অথবা পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। অভয়াশ্রম সংশ্লিষ্ট জেলায় এ সময় মৎস্য আহরণে বিরত থাকা নিবন্ধিত জেলেদের ইতিমধ্যে ৮০ কেজি হারে ভিজিএফ চাল বরাদ্দ দিয়েছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।

এদিকে, ইলিশ শিকারে নিষেধাজ্ঞা জারি হওয়ার ফলে বাজারে জোগান ধাক্কা খেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। বাংলাদেশে ২০০৩-২০০৪ সাল থেকেই খোকা ইলিশ (স্থানীয় ভাষায় জাটকা) রক্ষার কর্মসূচি শুরু করা হয়। তখন থেকেই ধীরে ধীরে ইলিশের উৎপাদন বাড়ছে। ২০০৮ সাল থেকে প্রথম আশ্বিন মাসে পূর্ণিমার আগে ও পরে মিলিয়ে ১১ দিন মা ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। তখন থেকেই এর সুফল মিলতে শুরু করে। গবেষণায় বিজ্ঞানীরা দেখতে পান, শুধু পূর্ণিমায় নয়, এ সময়ের অমাবস্যাতেও ইলিশ ডিম ছাড়ে।

[আরও পড়ুন: পরপুরুষে মজেছেন স্ত্রী, প্রতিশোধ নিতে খুনের পর দেহ ২১ টুকরো করে ডোবায় ফেলল স্বামী]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ