Advertisement
Advertisement

Breaking News

ফাঁসিতে ঝুলল সৌদি দূতাবাস আধিকারিকের খুনি সাইফুল ইসলাম মামুন

২০১২ সালে ঢাকায় নিজের বাড়ির বাইরে গুলিবিদ্ধ হন সৌদি দূতাবাসের আধিকারিক।

Khalaf murder convict Mamun hanged.

ছবি: প্রতীকী

Published by: Soumya Mukherjee
  • Posted:March 4, 2019 7:48 pm
  • Updated:March 4, 2019 7:48 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক : ফাঁসিতে ঝোলানো হল সৌদি দূতাবাসের আধিকারিক খালাফ আল আলির খুনি সাইফুল ইসলাম মামুনকে। রবিবার রাত ১০টা ০১ মিনিটে গাজিপুরে অবস্থিত কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি সেন্ট্রাল জেলে তার ফাঁসি হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেল সুপার মহম্মদ শাহজাহান আহমেদ। ২০১২ সালে সাইফুলের বিরুদ্ধে খালাফ আল আলিকে খুন করার অভিযোগ উঠেছিল। তারপর ২০১৩ সালের ৪ জানুয়ারি থেকে কাাশিমপুর সেন্ট্রাল জেলেই বন্দি ছিল বাগেরহাট স্মরণখোলা উপজেলার খোন্তাকাটা এলাকার প্রয়াত আবদুল মোতালেব হাওলাদারের ছেলে মামুন।

কারাগার সূত্রে জানা গিয়েছে, বাংলাদেশে অবস্থিত সৌদি দূতাবাসের আধিকারিক খালাফ আল আলি হত্যা মামলাতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাইফুল ইসলাম মামুনের ফাঁসির প্রয়োজনীয় কাগজপত্র একটি লাল কাপড়ে মোড়ানো অবস্থায় জেলে পৌঁছায়। এরপরই রায় কার্যকরের সকল ব্যবস্থা নেওয়া হয়। পরে জেলের ভিতরে মামুনের সঙ্গে দেখা করেন তার আত্মীয়রা। গাজিপুর মেট্রোপলিটান পুলিশের সহকারী কমিশনার (ক্রাইম) মহম্মদ শারিফুর রহমান জানান, রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ জেলে আসেন অ্যাডিশনাল ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট মহম্মদ মশিহুর রহমান ও ডিস্ট্রিক্ট সিভিল সার্জেন সৈয়দ মহম্মদ মনজুরুল হক। তাঁদের উপস্থিতিতে রাত ১০টা ০১ মিনিটে মৃত্যুদণ্ডের রায় কার্যকর করা হয়। ফাঁসির পরে একটি অ্যাম্বুল্যান্সে করে সাইফুল ইসলাম মামুনের মৃতদেহ কাশিমপুর কারাগার থেকে তার গ্রামের বাড়ি বাগেরহাটের খোন্তাকাটা গ্রামে পাঠানো হয়।

Advertisement
[‘জেহাদি বধূ’ শামিমাকে নিয়ে দেশে ফিরতে চায় ডাচ স্বামী]  

২০১২ সালের ৫ মার্চ মাঝরাতে ঢাকার গুলশানে নিজের বাড়ির বাইরে গুলিবিদ্ধ হন সৌদি দূতাবাসের আধিকারিক ৪৫ বছরের খালাফ আল আলি। পরেরদিন ভোরেই স্থানীয় একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকাকালীন মারা যান তিনি। এই ঘটনার দুদিন বাদে গুলশান থানায় মামলা করে পুলিশ। এর সাড়ে চারমাস পরে সাইফুল-সহ চারজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তদন্ত শেষের পর সেপ্টেম্বর মাসের ২০ তারিখ আদালতে সেলিম চৌধুরী-সহ পাঁচজনের নামে চার্জশিট জমা দেয় পুলিশ। আর ডিসেম্বর মাসের ৩০ ডিসেম্বর ঢাকার স্পেশাল ট্রাইবুনালের বিচারক মোতাহার হুসেন পাঁচজনকেই ফাঁসিতে ঝোলানোর নির্দেশ দেন। পরে সাজাপ্রাপ্তরা হাইকোর্টে আবেদন জানালে ২০১৩ সালে ঢাকা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ শুধুমাত্র সাইদুল ইসলাম মামুনকে ফাঁসি ঝোলানোর নির্দেশ বহাল রাখে। বাকি তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং একজনকে খালাস করে।

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ