Advertisement
Advertisement
বিশুদ্ধ জল

জলের উৎসে বাড়ছে দূষণ, পরিশোধনে কয়েকশো কোটি খরচ ঢাকার

অতিরিক্ত জল উত্তোলনের ফলে ভূগর্ভস্থ জলের স্তর প্রতিবছর দু থেকে তিন মিটার নিচে নেমে যাচ্ছে।

Bangladesh spends more than 300 crores on water purification
Published by: Bishakha Pal
  • Posted:April 18, 2019 3:17 pm
  • Updated:May 24, 2023 5:55 pm

সুকুমার সরকার, ঢাকা: রাজধানীতে জল সরবরাহ করে ঢাকা ওয়াসা। কিন্তু ওয়াসার নিম্নমানের জল সরবরাহ নিয়ে রাজধানীর এক-তৃতীয়াংশেরও বেশি গ্রাহক অসন্তুষ্ট। ওয়াসার অপরিষ্কার ও দুর্গন্ধযুক্ত জল সেবন করে নানা রোগে আক্রান্ত হয়েছেন নগরবাসী। সে কারণে ওয়াসার জল ফুটিয়ে বিশুদ্ধ করতে প্রতি বছর ৩৩২ কোটি টাকার বেশি জ্বালানি খরচ হচ্ছে। আর এই বিপুল খরচে মাথায় হাত প্রশাসনের৷ ঢাকায় জ্বালানী হিসেবে ব্যবহার করা হয় মিটারবিহীন গ্যাস পাইপের মাধ্যমে।

‘ঢাকা ওয়াসা: সুশাসনের চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক এক গবেষণা প্রতিবেদনে এই তথ্য প্রকাশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। আবাসিক, বাণিজ্যিক, শিল্প এবং নিম্ন আয়ের মানুষের মধ্য থেকে ১৭৬৮ জন গ্রাহকের উপর সমীক্ষার ভিত্তিতে গবেষণা করা হয়েছে। জল অপরিষ্কার এবং ৪১.৪ শতাংশ দুর্গন্ধযুক্ত বলে বেশি অভিযোগ করেছেন ঢাকার মিরপুর, সবুজবাগ, খিলগাঁও, মালিবাগ, বাড্ডা ও পুরনো ঢাকার বিভিন্ন এলাকার গ্রাহকরা। ঢাকা ওয়াসার ভূ-উপরিস্থ জলের উৎস অধিক মাত্রায় দূষিত হওয়ার কারণে পরিশোধনের পরও তা পানযোগ্য হয়ে ওঠে না৷ ওয়াসার সরবরাহ করা জল পান করে ২৪.৬ শতাংশ পরিবারের সদস্য নানা রোগে আক্রান্ত হয়েছেন বলে খবর।

Advertisement

[ আরও পড়ুন: প্রচার ইস্যুতে ক্ষমাপ্রার্থী অনুতপ্ত ফিরদৌস, ঢাকায় চরম উৎকণ্ঠায় নূরের পরিবার ]

Advertisement

৯১ শতাংশ ব্যবহারকারীর ওয়াসার জলের ওপর আস্থা না থাকায় ফুটিয়ে জীবাণুমুক্ত করতে প্রতিবছর ৩৩২ কোটি ৩৯ লাখ ৫৮ হাজার ৬২০ টাকা মূল্যের জ্বালানি খরচ হয়। গবেষণায় বলা হয়, টেকসই ও পরিবেশবান্ধব জলের উৎপাদন ব্যবস্থায় ঘাটতির কারণে গত ১০ বছরে ভূগর্ভস্থ জল উত্তোলনে ওয়াসার পাম্পের সংখ্যা ৪৮২ থেকে বেড়ে ৯০০ হয়েছে। ২০২১ সালের মধ্যে ভূমির উপরের জল ও ভূগর্ভস্থ জলের অনুপাত ৭০:৩০ করার লক্ষ্য থাকলেও বর্তমানে তা ২২:৭৮। এখনও ভূগর্ভস্থ জলের ওপর ৭৮ শতাংশ নির্ভরতা রয়েছে ওয়াসারের। অতিরিক্ত জল উত্তোলনের ফলে ভূগর্ভস্থ জলের স্তর প্রতিবছর দু থেকে তিন মিটার নিচে নেমে যাচ্ছে।

এদিকে ঢাকায় দৈনিক উৎপাদিত ১৪ লাখ টন শৌচবর্জ্যের বিপরীতে ওয়াসার ট্রিটমেন্ট প্লান্টে মাত্র ৫০ হাজার ঘনমিটার শৌচবর্জ্য পরিশোধন করতে পারে। ফলে বাকি সাড়ে ১৩ লাখ ঘনমিটার বর্জ্য বিভিন্ন খাল হয়ে ঢাকার চারপাশের বুড়িগঙ্গা, শীতলক্ষ্যা, তুরাগ ও বালু নদের জলকে মারাত্মকভাবে দূষিত করছে। এসব নিয়ে চিন্তা বাড়ছে প্রশাসনের৷

[ আরও পড়ুন: ভোটপ্রচারে যোগ দিয়ে বিপাকে বাংলাদেশি অভিনেতা গাজি নূর, কমিশনে বিজেপি ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ