Advertisement
Advertisement

Breaking News

বাংলাদেশ

সন্ত্রাস ছড়াচ্ছে ‘আল্লার দল’, নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে চলেছে বাংলাদেশ

হাসিনা সরকারকে উৎখাতের চক্রান্ত করছে দলটি।

Bangladesh to ban 8 terrorist outfit, says foreign minister
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:November 5, 2019 11:04 am
  • Updated:November 5, 2019 11:19 am

সুকুমার সরকার, ঢাকা: সন্ত্রাসবাদের শিকড় উপড়ে ফেলতে নয়া পদক্ষেপ বাংলাদেশের। এবার ‘আল্লার দল’-সহ আটটি মৌলবাদী সংগঠনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে চলেছে ঢাকা। গত রবিবার সচিবালয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এই কথা জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, পুলিশের স্পেশ্যাল ব্রাঞ্চের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আটটি জঙ্গি সংগঠনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই সংগঠনগুলির মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে ‘আল্লার দল’। জেহাদি মতাদর্শ প্রচারের জন্য এই সংগঠনকে ইতিমধ্যে কালো তালিকাভুক্ত করেছে ঢাকা। নিষিদ্ধ জেহাদি সংগঠন জেএমবির সহযোগিতায় ‘আল্লার দল’ গোটা দেশে প্রভাব বিস্তার করার চেষ্টা করছে। জানা গিয়েছে, বেশ কয়েকটি ব্যাংকে বেনামে বিপুল অর্থ জমিয়ে নাশকতার পাশাপাশি শেখ হাসিনা সরকারকে উৎখাতের চক্রান্ত করছে তারা। কারণ এই সংগঠনটি গণতন্ত্র ও বাংলাদেশের সংবিধানে বিশ্বাসী নয়। এক্ষেত্রে ইসলামের অপব্যাখ্যা ও বিভ্রান্তিমূলক তথ্য পরিবেশন করে সাধারণ মানুষকে ভুল পথে চালিত করছে এই জঙ্গি সংগঠনটি।

Advertisement

গোয়েন্দা সূত্রে খবর, ১৯৯৫ সালে ‘আল্লার দল’ নামের এই জঙ্গি সংগঠনটি তৈরি করে কুখ্যাত জঙ্গি মতিন মেহেদি ওরফে মুমিনুল ইসলাম। ২০০৪ সাল থেকে জেএমবির সঙ্গে হাত মেলায় সংগঠনটি। ২০০৫ সালে সারা দেশে ধারাবাহিক বোমা হামলার পর জেএমবি দুর্বল হয়ে পড়ে। এর পরে মেহেদী জেএমবি ত্যাগ করে ‘আল্লার দলকে’ ফের ঢেলে সাজাতে শুরু করে। ২০০৭ সালে নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে ধরা পড়ে মতিন মেহেদি। বর্তমানে তার ঠিকানা জেল। তবুও তাকেই নেতা মনোনীত করে নিজেদের জঙ্গি কার্যকলাপ অব্যহত রেখেছে ‘আল্লার দল’। সদস্যদের সশস্ত্র প্রশিক্ষণের ঝামেলা এড়াতে সামরিক বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত, বহিষ্কৃত সদস্যদের দলে টানছে তারা।

উল্লেখ্য, বিএনপিকে সরিয়ে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই রাজাকর ও জঙ্গিদের বিরুদ্ধে অভিযানে নেমেছেন প্রধানমন্ত্রী হসিনা। তাঁর আমলে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে বেশ কয়েকজন কুখ্যাত বর্বর পাকপন্থী জামাত নেতাকে। অভিযানে নিকেশ করা হয়েছে শতাধিক জঙ্গি ও মাদক পাচারকারীকে। সব মিলিয়ে মৌলবাদীদের শিকড় উপড়ে ফেলতে বদ্ধ পরিকর হাসিনা। তবে সরকার কড়া পদক্ষেপ করলেও মৌলবাদীদের প্রভাব সেই অর্থে শেষ হয়ে জায়নি। বিশেষ করে নিরাপত্তার ক্ষেতের বড়সড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠছে জেএমবি ও নব্য জেএমবি জঙ্গ সংগঠনগুলি। এছাড়াও প্রতিনিয়ত বাংলাদেশে শিকড় জমানোর চেষ্টা করছে আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট।

Advertisement

[আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে ভারতকে এগিয়ে আসার আবেদন ঢাকার]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ