জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী তিথি সরকার।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ধর্মীয় কটুক্তির জেরে কড়া শাস্তির মুখে বাংলাদেশের পড়ুয়া। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী তিথি সরকারকে ৫ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। সোমবার ঢাকার সাইবার ট্রাইবুনাল আদালতের বিচারক এ এম জুলফিকার হায়াত মামলার রায় ঘোষণা করেন।
দোষী সাব্য়স্ত হওয়া তিথি সরকারের বিরুদ্ধে সোশাল মিডিয়ায় ধর্মের বিরুদ্ধে কটুক্তির অভিযোগ উঠেছিল। যদিও সেই সময় তিনি দাবি করেছিলনে যে তাঁর ভেসবুক পেজ হ্যাক হয়েছে। এ নিয়ে থানায় অভিযোগও করেছিলেন। এর পর বাড়ি থেকে কার্যত গায়েব হয়ে যান তিনি। এর মাঝেই সোশাল মিডিয়ায় খবর ছড়ায় যে সিআইডির মালিবাগ কার্যালয়ের চারতলা থেকে তিথি সরকারকে ‘হাত পা-বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে’। ফেসবুকে সেই খবর দেখে তদন্ত নামে তারা। নিরঞ্জন বড়াল বলে একজনকে গ্রেপ্তারও করা হয়। এর পর তিথিকেও গ্রেপ্তার করা হয়। জানা যায়, তিনি দূর সম্পর্কের এক আত্মীয়ের বাড়িতে লুকিয়ে ছিলেন। এর পরই তাঁর বিরুদ্ধে মামলা শুরু হয়। অবশেষে তাঁকে ৫ বছরের কারাদন্ড দেওয়া হল।
তবে ৫ বছরের কারাদন্ডের মধ্যে তিথিকে এক বছরের জন্য সমাজসেবা অধিদপ্তরের অধীনে প্রবেশনে পাঠানো হবে। যদি প্রবেশনে তিথি নিজেকে ‘সংশোধন’ করে নেন, তাহলে তাঁকে পাঁচ বছরের সাজা ভোগ করতে হবে না। কী এই প্রবেশন?
বাংলাদেশের আইনকানুন বলছে, প্রবেশনে একজন দণ্ডিতের শাস্তি স্থগিত রাখা হয়। জেলের বদলে দোষীকে মুক্ত রাখা হয়। তবে বেশ কিছু শর্ত মেনে চলতে হয় তাঁকে। সাধারণত লঘু বা প্রথম অপরাধের ক্ষেত্রে কিশোর বা কম বয়সিদের প্রবেশনে রেখে সংশোধনের চেষ্টা করা হয়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.