Advertisement
Advertisement

Breaking News

Bangladesh

বাংলাদেশেই তৈরি হবে যুদ্ধবিমান, আশাপ্রকাশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার

হাসিনা জানান, অত্যাধুনিক কে-৮ ডব্লিউ জেট প্রশিক্ষণ বিমান সংযোজন করা হয়েছে বিমানবাহিনীতে।

Bangladesh will make fighter jets: Sheikh Hasina | Sangbad Pratidin
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:December 21, 2020 2:25 pm
  • Updated:December 21, 2020 2:25 pm

সুকুমার সরকার, ঢাকা: একদিন বাংলাদেশও যুদ্ধবিমান তৈরি করবে বলে আশাপ্রকাশ করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এজন্য উপযোগী করে নিজেদের গড়ে তুলতে বিমানবাহিনীর তরুণ আধিকারিকদের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

[আরও পড়ুন: বাংলাদেশে ধর্ষণ মামলা চলাকালীন নির্যাতিতাকে বিয়ে অভিযুক্তের, এজলাসেই বসল আসর]

রবিবার প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আজকের নবীন আধিকারিকরাই হবে আমার ২০৪১-এর সৈনিক। সেইভাবে নিজেদের গড়ে তুলবে, দেশকে ভালবাসবে, মানুষকে ভালবাসবে, দেশ ও মানুষের প্রতি দায়িত্ববোধ, কর্তব্যবোধ থাকবে। জাতির পিতার আর্দশ নিয়ে তোমরা এগিয়ে যাবে। আমরা আর পিছিয়ে থাকব না।” বাংলাদেশ (Bangladesh) বিমানবাহিনী আয়োজিত শীতকালীন ‘রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজ ২০২০’ অনুষ্ঠানে তিনি এদিন যোগ দেন। প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন। ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে পরিণত হবে বলে আশাপ্রকাশ করে সরকারের একটি আধুনিক সশস্ত্র বাহিনী গড়ে তোলার বিভিন্ন প্রচেষ্টা তিনি ভাষণে তুলে ধরেন।

Advertisement

এদিন প্রধানমন্ত্রী হাসিনা বলেন, “প্রযুক্তি ভিত্তিক ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলার ঘোষণার ধারাবাহিকতায় প্রযুক্তি ভিত্তিক বিমানবাহিনী গড়ে তোলার দিকে আমরা বিশেষ দৃষ্টি দিয়েছি। সেই সময়ে সর্বাধুনিক মিগ-২৯ বিমান ক্রয় করি। পাশাপাশি আধুনিক উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন বিমান, হেলিকপ্টার, র‌্যাডার, ভূমি থেকে আকাশ নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র, অত্যাধুনিক সমরাস্ত্র এবং মুখ্য যন্ত্রপাতি সংযোজন করেছি। অ্যারোনটিক্যাল সেন্টার গড়ে তুলেছি। তেঁজগাও বিমানবন্দর বিমানবাহিনীকে উপহার দিয়েছি, যাতে বিমানবাহিনী তাদের প্রশিক্ষণ আরও দৃঢ় করতে পারে এবং এগিয়ে যেতে পারে।”

Advertisement

হাসিনা আরও বলেন, বিমানবাহিনীর দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য অত্যাধুনিক পাঁচটি সি-১৩০জে পরিবহণ বিমান ক্রয়ের জন্য চুক্তি সম্পাদন করা হয়েছে। যার তিনটি বিমান ইতিমধ্যে দেশে এসে পৌঁছেছে। বৈমানিকদের উন্নততর প্রশিক্ষণ নিশ্চিত করতে আরও সাতটি অত্যাধুনিক কে-৮ ডব্লিউ জেট প্রশিক্ষণ বিমান সংযোজন করা হয়েছে এবং অচিরেই যুক্ত হতে যাচ্ছে পিটি-৬ সিমুলেটর। এ ছাড়াও শিগগিরই যুক্ত হবে এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম ইন্টিগ্রেশন, আনম্যান্ড এরিয়াল ভেহিকেল সিস্টেম, মোবাইল গ্যাপ ফিলার র‌্যাডার এবং সর্বাধুনিক এয়ার ডিফেন্স র‌্যাডার। ফোর্সেস গোল-২০৩০ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বিমান বাহিনীকে উন্নত ও আধুনিকায়নে ভবিষ্যতে আরও আধুনিক উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন যুদ্ধবিমান ও অন্যান্য সরঞ্জামাদি ক্রয়ের কার্যক্রম প্রক্রিয়ার মধ্যে আছে।

[আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের বসতি তৈরিতে পরিবেশের ক্ষতি, বাংলাদেশে ধ্বংস হাজার হাজার একর বনাঞ্চল]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ