Advertisement
Advertisement
আইএস

বাংলায় হুমকি পোস্টার সত্যি করে ঢাকায় হামলা, দায় স্বীকার আইএস-এর

পুলিশের উপর হামলা চিন্তায় ফেলেছে হাসিনা প্রশাসনকে৷

Blast in Dhaka, ISIS claims responsibility of the blast
Published by: Tanujit Das
  • Posted:April 30, 2019 2:44 pm
  • Updated:April 30, 2019 2:44 pm

সুকুমার সরকার, ঢাকা: দিন কয়েক আগে বাংলায় পোস্টার প্রকাশ করে তারা হুঁশিয়ারি দিয়েছিল, ‘শীঘ্রই আসছি, ইনশাল্লাহ…’৷ সতর্কতা জারি হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশে৷ বাড়ানো হয়েছিল নিরাপত্তা৷ কিন্তু নিরাপত্তার সেই বজ্রআঁটুনিকে ফস্কা গেরো প্রমাণ করেই সোমবার রাতে ঢাকার গুলিস্তান এলাকায় হামলা চালাল জঙ্গি সংগঠন আইএস৷ ঘটনায় গুরুতর জখম হয়েছেন তিন পুলিশ অফিসার৷ 

[আরও পড়ুন: ধারাবাহিক দেখায় বাবা-মায়ের বাধা, অভিমানে আত্মঘাতী ঢাকার কিশোরী]

Advertisement

আইএসের গতিবিধি বিশ্লেষক রিটা কাটজ মঙ্গলবার টু্ইটারে আইএসের দাবি সম্বলিত একটি স্ক্রিনশট দেন। আরবি ভাষায় যাতে লেখা রয়েছে, ‘ঢাকার গুলিস্তানে মুরতাদ বাহিনীর ওপর এ হামলা চালানো হয়। রাজধানীর গুলিস্তান এলাকায় বোমা হামলায় তিন পুলিশ সদস্য আহত হন।’’ জানা গিয়েছে, সোমবার রাত ৮টা নাগাদ বঙ্গবন্ধু শপিং কমপ্লেক্সের সামনে পুলিশের একটি কিয়স্ককে লক্ষ্য করে বোমা ছোঁড়ে জঙ্গিরা৷ দু’মিনিটের জন্য বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ঘটনায় আহত হন, ট্রাফিক কনস্টেবল নজরুল ইসলাম, মহম্মদ লিটন এবং কমিউনিটি পুলিশ মহম্মদ আশিক। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁদেরকে প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় রাজারবাগ হাসপাতালে৷ পরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় তাঁদের৷

Advertisement

ঢাকা পুলিশের মতিঝিল বিভাগের উপ-কমিশনার (এডিসি) শিবলি নোমান জানান, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন ট্রাফিক পুলিশের মতিঝিল জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) বজলুর রহমান৷ তিনি জানান, যান নিয়ন্ত্রণের সময়ই হঠাৎ দূর থেকে তাঁদেরকে লক্ষ্য করে একটি ককটেল বোমা ছোঁড়া হয়৷ এই ঘটনার পরই নড়েচড়ে বসেছে বাংলাদেশের গোয়েন্দা বিভাগ, র‍্যাব ও সিআইডি। আইএস এই হামলার দায় স্বীকার করায় আরও চিন্তা বেড়েছে বাংলাদেশ প্রশাসনের৷

[আরও পড়ুন: যৌন হেনস্থা প্রতিরোধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে? তালিকা চেয়ে হাই কোর্টে আইনজীবী ]

গত বৃহস্পতিবারই বাংলাদেশ এবং পশ্চিমবঙ্গে হামলা চালানোর হুমকি দেয় আইএস। ‘শীঘ্রই আসছি, ইনশাল্লাহ…’ নামের একটি পোস্টারে দিয়েছিল মুরসালাত নামে আইএসের একটি শাখা সংগঠন৷ গোয়েন্দা সূত্রে খবর, জামাত-উল-মুজাহিদিনের (জেএমবি) সঙ্গে আইএসের যোগ রয়েছে। জেএমবির সাহায্যেই কলকাতা ও পশ্চিমবঙ্গ থেকে তাদের দলে সদস্য নিয়োগ করছে আইএস। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে কলকাতার বাবুঘাট এলাকা থেকে আরিফুল ইসলাম নামে এক জেএমবি সদস্যকে গ্রেপ্তার করে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ৷ ধৃত আরিফুল ২০১৮-র বুদ্ধগয়া বিস্ফোরণের অন্যতম অভিযুক্ত। এভাবেই চোরাগোপ্তা এ রাজ্যেও সংগঠন বৃদ্ধি করতে চাইছে জেএমবি৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ