Advertisement
Advertisement
Bangladesh

‘আওয়ামির রেজিস্ট্রেশন বাতিল নিয়ে কথা বলার সময় আসেনি’, ছাত্রদের দাবিতে স্পষ্ট জানাল নির্বাচন কমিশন

রাজনীতির ময়দান থেকে মুছে ফেলার ছুঁতো পেয়ে গিয়েছে মহম্মদ ইউনুসের অন্তর্বর্তী সরকার।

Election commission of Bangladesh gave reaction on Awami league
Published by: Suchinta Pal Chowdhury
  • Posted:February 18, 2025 9:23 pm
  • Updated:February 18, 2025 9:23 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এখনও আওয়ামি লিগের রেজিস্ট্রেশন বাতিল নিয়ে কথা বলার সময় আসেনি। বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের দাবিতে স্পষ্ট জানাল বাংলাদেশের নির্বাচন সংস্কার কমিশন। বিএনপির মতো বাংলাদেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পাশাপাশি তথাকথিত ‘বিপ্লবী’ ছাত্ররাও একই দাবিতেই সরব। দ্রুত নিষিদ্ধ করা হোক আওয়ামিকে। আর এতেই হাসিনার দলকে রাজনীতির ময়দান থেকে মুছে ফেলার ছুঁতো পেয়ে গিয়েছে মহম্মদ ইউনুসের অন্তর্বর্তী সরকার। এই বিষয়ে রাজনৈতিক দল ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্রনেতাদের সঙ্গে নিয়মিত আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা ইউনুস।

আওয়ামি লিগের নিবন্ধন বাতিল করা নিয়ে নির্বাচন কমিশনার (ইসি) আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, “আওয়ামি লিগের নিবন্ধন বাতিল নিয়ে কথা বলার সময় এখনও আসেনি। আরেকটু অপেক্ষা করতে হবে। তবে এর মানে এই নয় যে আমরা এখনই কিছু বলতে চাইছি না। সময়ই আমাদের গাইড করবে। এবার যেহেতু অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, স্বচ্ছ নির্বাচন করার জন্য আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ, তাই এই নির্বাচন হওয়ার কোনও বিকল্প নেই। একটা উত্তম নির্বাচন করতে চাইছি আমরা এবং যে কোনও মূল্যে করতে হবে। সেই বার্তাই আমরা দেওয়ার চেষ্টা করব।”

Advertisement

এর আগে আওয়ামি লিগকে নিষিদ্ধের দাবি জানিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেছিলেন, “আমরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে একটি বিষয় পরিষ্কার করতে চাই। যে নৌকা ডুবে গিয়েছে তা আর কখনও আসবে না। আওয়ামি লিগ পরবর্তী বাংলাদেশ অপ্রাসঙ্গিক। আমরা সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছি, যেন আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আওয়ামি লিগকে নিষিদ্ধ করা হোক। আওয়ামিকে নিষিদ্ধ করার প্রথম ধাপ হিসেবে তাদের নিবন্ধন বাতিলের প্রস্তাব দিয়েছি। যাতে তাদের রাজনৈতিকভাবে নিষ্ক্রিয় করে দেওয়া যায়।”

এই মুহূর্তে হাসিনার দলকে নিষিদ্ধ করতে উঠেপড়ে লেগেছে ইউনুস সরকার। কিন্তু এই সরকারের বৈধতা নিয়ে নানা প্রশ্ন রয়েছে। কারণ তারা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ক্ষমতায় আসেনি। তাই তারা কীভাবে একটা দলকে নিষিদ্ধ করবে বা প্রাক্তন রাষ্ট্রপ্রধানকে ফেরত চেয়ে অন্য দেশকে চিঠি দিতে পারে, এরকম একাধিক প্রশ্ন উঠছে। এছাড়া এই ছাত্রনেতারাই হাসিনার পতনের মধ্যে দিয়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার দাবি জানিয়েছিলেন। অথচ তাঁরাই একটা রাজনৈতিক দলকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে না দেওয়া ও নিষিদ্ধ করে দেওয়ার ডাক দিচ্ছেন। এটা কি স্বৈরতন্ত্র নয়? এদিকে, ক্ষমতা ছাড়তে চান না ইউনুসও। এক সময় ‘নতুন বাংলাদেশ’ গড়ার ডাক দিয়ে ক্ষমতায় এসেছিলেন তিনি। কিন্তু আদতে বদল নয়, বদলার রাজনীতি করছে তাঁর সরকার। এখন ইউনুস উঠেপড়ে লেগেছেন কোনও না কোনও অজুহাতে আওয়ামি লিগকে নিষিদ্ধ করে দিতে। যাতে নির্বাচনের আগে পথের কাঁটা সরে যায়।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement