সুকুমার সরকার, ঢাকা: বাংলাদেশে কিছুতেই কমছে না করোনার প্রকোপ। লাগাতার বাড়ছে সংক্রমণ। এহেন সংকটকালে শনিবার ইদ আল আজহায় বিস্তর মেলামেশা ও একইসঙ্গে বন্যার করুণ পরিস্থিতিতে আরও ভয়াবহ আকার নিতে পারে করোনা বলেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
[আরও পড়ুন: ISIS জঙ্গিদের নিশানায় ঢাকার গুলশান, সতর্কবার্তা ঘিরে তৎপর প্রশাসন]
বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বাংলাদেশে নতুন করে আরও ২ হাজার ৬৯৫ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ লক্ষ ৩৪ হাজার ৮৮৯ জন। এখনও পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৩ হাজার ৮৩ জনের। এই বিষয়ে বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের আওতাধীন দপ্তর ও সংস্থার মধ্যে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তিপত্র স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বলেন, “ইদকে কেন্দ্র করে কোরবানির পশুরহাটে ও ইদযাত্রায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাটা কঠিন হতে পারে। অনেকেই পশুরহাটে মাস্ক ছাড়া ঘোরাফেরা করছেন। করোনা সংক্রমণ রুখতে বেশ কিছু স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে বলা হয়েছে সবাইকে। এই বিষয়ে আমাদের আরও সতর্ক হওয়ার প্রয়োজন রয়েছে।”
এদিকে, বিশ্বজুড়ে করোনা মহামারী প্রতিরোধে চিন তাদের উদ্ভাবিত টিকা বাংলাদেশে পরীক্ষার যে উদ্যোগ নিয়েছিল তা নিয়ে এবার অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র বাংলাদেশকে (আইসিডিডিআরবি) চিন থেকে টিকা আনার অনুমোদন দেয়নি স্বাস্থ্যমন্ত্রকের ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর। এ পরীক্ষার ব্যাপারে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় তেমন আগ্রহী নয়। তবে অন্য দেশের উদ্ভাবিত টিকা পাওয়ার ব্যাপারে সরকার দৌড়ঝাঁপ করে যাচ্ছে। দেশে করোনা প্রতিরোধে টিকার ট্রায়াল, টিকা উৎপাদন এবং বিদেশ থেকে টিকা আনা নিয়ে আলোচনা চলছে তিন মাস ধরে। পার্শ্ববর্তী বন্ধুপ্রতীম দেশ ভারত টিকা উদ্ভাবনের জোর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। পাশাপাশি বিপুল সংখ্যায় টিকা উৎপাদনেরও প্রস্তুতি নিয়েছে।