Advertisement
Advertisement

Breaking News

রোহিঙ্গা

রোহিঙ্গা সমস্যায় মায়ানমারকে সাহায্য ভারতের, রাখাইনে ২৫০টি বাড়ি হস্তান্তর

ভারত-মায়ানমার বন্ধুত্বপূর্ণ প্রকল্পে এই বাড়িগুলি তৈরি৷

India constructs 250 houses for Rohingyas in Rakhine
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:July 12, 2019 5:16 pm
  • Updated:July 12, 2019 5:16 pm

সুকুমার সরকার, ঢাকা: মায়ানমার থেকে বাংলাদেশে ঢুকে পড়া ১১ লক্ষ রোহিঙ্গার প্রত্যাবাসন যখন হাসিনা সরকারের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে, সেই পরিস্থিতিতে মায়ানমারের দিকে সাহায্যের হাত বাড়াল ভারত৷ রোহিঙ্গাদের জন্য রাখাইন প্রদেশে তৈরি প্রায় আড়াইশোটি বাড়ি মায়ানমার সরকারের হাতে তুলে দেওয়া হল৷ ভারত-মায়ানমারের মধ্যে এটি বন্ধুত্বপূর্ণ একটি প্রকল্প বলে মনে করা হচ্ছে৷

[আরও পড়ুন: ‘রোহিঙ্গারা বাংলাদেশের পক্ষে বিরাট বোঝা’, বলছেন রাষ্ট্রসংঘের প্রাক্তন মহাসচিব]

এবিষয়ে ভারতের তরফে সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা জানাচ্ছেন, রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ফেরার পরিবেশ তৈরি করতেই আড়াই কোটি ডলারের উন্নয়ন প্যাকেজ দেওয়া হচ্ছে, যার অন্তর্গত এই আড়াইশো বাড়ি৷ উত্তর রাখাইনে শোয়ে জার, কেইন চংটং এবং নান্ট থার টং গ্রামে বানিয়ে দেওয়া ওই বাড়িগুলি মায়ানমার কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করেন ভারতের রাষ্ট্রদূত সৌরভ কুমার৷ তবে ভারতের তৈরি এই বাড়িগুলি শুধুমাত্র হিন্দু রোহিঙ্গাদের জন্য, বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হলেও, তা অস্বীকার করে মায়ানমার সরকারের দাবি, মুসলিম রোহিঙ্গারাও সেখানে আশ্রয় পাবেন৷ জানা গিয়েছে, রাখাইনে স্কুল ও বাজার নির্মাণের মতো ২১টি প্রকল্পের প্রস্তাবিত তালিকা ভারতকে দিয়েছে মায়ানমার কর্তৃপক্ষ৷

Advertisement

তবে মানবাধিকার সংগঠনগুলির দাবি, রাখাইনে মায়ানমার সেনার অত্যাচার বন্ধ না হলে ভারতের এই সাহায্যে খুব একটা সুফল পাওয়া যাবে না৷  এদিকে, বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য বছর দুই আগে লঙ্গরখানা খুলেছে শিখ সম্প্রদায়ের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন৷ খালসা এইড নামে ওই সংস্থা বাংলাদেশ-মায়ানমারের সীমান্ত লাগোয়া টেকনাফে এটি চালু করে শরণার্থীদের খাদ্য সরবরাহের জন্য৷ ভারতে এই সংস্থার ম্যানেজিং ডিরেক্টর অমরপ্রীত সিং বলছেন, ‘সীমান্তে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের অবস্থা এতটাই দুঃখজনক, যা বর্ণনা করার মতো নয়৷ প্রায় ৫০ হাজার মানুষকে ত্রাণের জন্য প্রস্তুত হয়ে এসেছিলাম আমরা৷ কিন্তু এসে দেখছি, জনসংখ্যা আরও বেশি৷ তাঁদের কাছে খাবার, জল, পোশাক কিছুই নেই৷ আমরা কিছু ত্রিপলের বন্দোবস্ত করে দিতে পেরেছি৷’ টেকনাফ থেকেই নদীপথে লঙ্গরখানার জন্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে যাওয়া হচ্ছে৷ তবে মাঝেমধ্যে বৃষ্টির কারণে অসুবিধায় পড়তে হচ্ছে৷

Advertisement

[আরও পড়ুন: পদ্মা সেতু নির্মাণের সূচনায় নরবলির গুজব, সচেতনতা প্রচারে আসরে সংস্থা]

rohingya-house

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ