Advertisement
Advertisement

Breaking News

Sheikh Mujibur Rahaman

মুজিবের খুনের নেপথ্যে জিয়াউর রহমান! মার্কিন সাংবাদিকের দাবিতে তোলপাড়

মেজর জিয়ার ভূমিকা নিয়ে বেশ কিছু বিস্ফোরক তথ্য দেন সাংবাদিক লরেন্স লিফশুলজ।

Major Zia-Ur-Rahaman behind Sheikh Mujibur Rahaman's assassination!
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:August 22, 2020 2:41 pm
  • Updated:August 23, 2020 12:49 pm

সুকুমার সরকার, ঢাকা: বাংলাদেশের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-সহ তাঁর পরিবারের সদস্যদের হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত কয়েকজন প্রাক্তন সেনা আধিকারিকের বিচারে ইতিমধ্যেই ফাঁসির সাজা কার্যকর হয়েছে। এবার দেশের সেনাবাহিনীর তৎকালীন উপপ্রধান জেনারেল জিয়াউর রহমানের (Major Ziaur Rahman) ভূমিকা ও ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের সংযোগের বিষয়টি সামনে এনে তদন্তের দাবি তুললেন মার্কিন সাংবাদিক লরেন্স লিফশুলজ। বৃহস্পতিবার এক ভারচুয়াল আলোচনায় যোগ দিয়ে লিফশুলজ বলেন, ”বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের বিচারের বিষয়টি কেবল বাংলাদেশের বিষয় নয়, এটা আমেরিকারও বিষয়।”

বৃহস্পতিবার ‘বাংলাদেশ ১৯৭৫: সেটিং দ্য ক্লক ব্যাক’ শীর্ষক আলোচনা সভায় লিফশুলজের অভিযোগ, ”যারা হত্যাকাণ্ডের পিছনে ছিল, তারা জিয়াউর রহমানের পৃষ্ঠপোষকতা ছাড়া এগোয়নি। আর জিয়াউর রহমানের পিছনে ছিল আমেরিকা। এই সংযোগে তদন্তের প্রয়োজন বলে আমি মনে করি। বাংলাদেশ ও আমেরিকা দুই দেশের জনগণ মিলেই এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে হবে।”

Advertisement

[আরও পড়ুন: মুক্তমনা ব্লগার নাজিম হত্যায় চার্জশিট পেশ, আনসার নেতা মেজর জিয়া-সহ অভিযুক্ত ৯]

বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের নেপথ্য কারণ অনুসন্ধানের পর জিয়ার আমলে সামরিক আদালতে কর্নেল তাহেরের বিচারের অনুসন্ধান করেছিলেন এই সাংবাদিক। তখন তাঁকে বাংলাদেশ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। তা নিয়ে লিফশুলজ বলেন, ”এখন আমরা জানি, সেনা উত্থানের এক সপ্তাহ আগে জিয়াউর রহমান মার্কিন দূতাবাসের জ্যেষ্ঠ আধিকারিকদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। আমরা এও জানি, CIA’র স্টেশন চিফ ফিলিপ চেরির সঙ্গে তাঁর ব্যক্তিগত আলোচনা হয়েছিল ঢাকায়। মার্কিন দূতাবাসে এ নিয়ে দুশ্চিন্তা ছিল যে কী হতে চলেছে। রাষ্ট্রদূত ডেভিস বস্টার খুবই বিষণ্ণ ও বিরক্ত ছিলেন। কারণ, অন্য দূতাবাস আধিকারিকরা এ বিষয়ে কিছুই জানতেন না।”

Advertisement

মুজিবর রহমানকে হত্যার ছ’ মাস আগে থেকেই পরিকল্পনা হয়েছিল, এই দাবি করে লিফশুলজের দাবি, ”পরিকল্পনা চূড়ান্তের এক সপ্তাহ আগে জিয়া ও চেরির সঙ্গে ঢাকায় এক ব্যবসায়ীর বাসায় সভা হয়, কীভাবে এটা সম্পন্ন হবে, তা নিয়ে। জিয়া ছিলেন সুচারু পরিকল্পনার কেন্দ্রে। পরবর্তী সময়ে তাঁর উত্থান থেকে আমরা বুঝতে পারি, সেনাবাহিনীর উপ-প্রধান হিসেবে জিয়া অন্য সৈন্যদের ধানমন্ডি-৩২ নম্বরে যাওয়া ঠেকিয়েছিলেন। মাসের পর মাস পরিকল্পনায় তিনি জড়িত ছিলেন। তাঁর দায়িত্ব ছিল সেনাবাহিনীর কেউ যাতে এই কু’র বিরুদ্ধে অবস্থান না নেয়।” 

[আরও পড়ুন: ‘গ্রেনেড হামলা চালিয়ে আমাকে খুন করতে চেয়েছিলেন খালেদা জিয়া’, বিস্ফোরক শেখ হাসিনা]

আলোচনায় যোগ দিয়ে তৎকালীন গভর্নর মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন বলেন, ”যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে ঠিক পথে এগিয়ে নিচ্ছিলেন বঙ্গবন্ধু। অনেক বাধা সত্ত্বেও দেশ ঠিক পথে এগোচ্ছিল। সামরিক শাসনে মানুষের কোনও মতপ্রকাশের সুযোগ ছিল না, মানুষের জন্য নীতি প্রণয়ন হয়নি। ভয়, আতঙ্কের শাসন প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল।” ১৯৯৬ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামি লিগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর বাস্তববাদী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে ফরাসউদ্দিন বলেন, ”সামাজিক কাঠামো, অর্থনৈতিক কাঠামো ঠিক করে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।” সাংবাদিক সৈয়দ বদরুল আহসান বলেন, ”১৯৭৫ সালের আগস্ট হত্যাকাণ্ড বেআইনি ও অসাংবিধানিকভাবে ক্ষমতা দখলের পথ উন্মোচন করেছিল। এটা আমাদের অসাম্প্রদায়িক নীতির ওপর আঘাত করেছে, যেটার ওপর ভিত্তি করে আমরা দেশ স্বাধীন করেছিলাম, এই হত্যাকাণ্ড আমাদেরকে সেখান থেকে সরিয়ে নিয়েছে।”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ