Advertisement
Advertisement
Bangladesh

ইদের আগে ঢাকার বঙ্গবাজারে বিধ্বংসী আগুন, পুড়ে ছাই ৫০০০ দোকান

রয়েছে জলসংকট, দমকলের সঙ্গে আগুন নেভানোর কাজে শামিল সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী।

Massive fire breaks out in Banganazar, Dhaka's biggest garment market, 5000 stalls burnt
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:April 4, 2023 10:02 am
  • Updated:April 4, 2023 10:37 am

সুকুমার সরকার, ঢাকা: ইদের (Eid) বাজার ঘিরে লাভের মুখ দেখতে শুরু করেছিলেন ব্যবসায়ীরা। কিন্তু তার মাঝেই বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডে প্রায় পুড়ে ছাই ঢাকার সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজারের ৫ হাজার দোকান। মঙ্গলবার সকালে ঢাকার (Dhaka) বঙ্গবাজারে আগুন লাগার ঘটনায় তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়েছে। কয়েকঘণ্টা পরও আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে হিমশিম দশা দমকল বাহিনী। জল সংকটের জেরে কাজে সমস্যা হচ্ছে। দাউদাউ করে জ্বলতে থাকা আগুন নেভাতে নেমেছে বাংলাদেশের সেনাবাহিনী। কাজ করতে বিমানবাহিনীর কপ্টার।

Advertisement

মঙ্গলবার সকাল ৬টা ১০ নাগাদ বঙ্গবাজারে আগুন লাগার খবর পায় দমকল বাহিনী। সঙ্গে সঙ্গে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার কাজ শুরু করে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের ৫০টি ইউনিট। পরে ইউনিটের সংখ্যা বাড়তে থাকলেও আগুন আরও বিধ্বংসী আকার ধারণ করে ছড়িয়ে পড়ে পাশের আরেকটি মার্কেটে। পুলিশের সদর দপ্তর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, সরকারি কর্মচারী হাসপাতাল, পশু হাসপাতাল, ফায়ার সার্ভিসের সদর দপ্তর, সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর গাড়ি এনে জল দেওয়া হয়। তবুও আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা রীতিমত যুদ্ধকালীন পরিস্থিতি হয়ে উঠেছে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: শুধুমাত্র অন্তর্বাস পরে মেট্রোয় তরুণী, দেখে তাজ্জব যাত্রীরা! ভিডিও ভাইরাল]

সকাল ৯টা নাগাদও দেখা যায়, আগুনের ধোঁয়া কুণ্ডলী পাকিয়ে ক্রমশ আকাশমুখী। ছেয়ে গিয়েছে গোটা এলাকা। আরও উদ্বেগ বাড়াচ্ছে জলের সংকট। তবে এখনও আগুন লাগার কারণ জানা যায়নি। আর দু’সপ্তাহ পর ইদ। জমজমাট বেচাকেনার মধ্যে এই অগ্নিকাণ্ডে কার্যত সর্বশান্ত হয়ে গেলেন ব্যবসায়ীরা। ইদের বাজার জমাতে প্রচুর জামাকাপড় তুলেছিলেন তাঁরা। সবই ছিল দোকানের মধ্যে। বিধ্বংসী আগুনে সেসব জ্বলে পুড়ে খাক, কিছুই বের করতে পারেননি তাঁরা।

[আরও পড়ুন: উড়ে গেল পাখি! ১৭ বছর পর টুইটারের লোগো পালটে দিলেন মাস্ক]

দমকল বিভাগের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার রাফি আল ফারুক বলেন, ”এদিন সকাল ৬টা ১০ মিনিটে বঙ্গবাজার মার্কেট আগুন লাগার খবর পাই। সংবাদ পাওয়ার পর আমাদের একের পর এক ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে ৫০টি ইউনিট ঘটনাস্থলে কাজ করছে। সঙ্গে সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর সাহায্যকারী দল যুক্ত হয়েছে। আগুন নেভাতে এছাড়াও যোগ দিয়েছেন পুলিশ, আনসার, বিজিবি, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি (বিডিআরসিএস), ভলেন্টিয়ার ও এলিট ফোরস RAB।”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ