Advertisement
Advertisement
ধর্ষণ

দোষী সাব্যস্ত ধর্ষিতাই! চাবুকপেটা খেয়ে ‘প্রায়শ্চিত্ত’ করল কিশোরী

২১ বার চাবুক মারা হয় নির্যাতিতাকে।

Rape survivor raises voice, gets whipped in Bangladesh
Published by: Bishakha Pal
  • Posted:May 31, 2019 5:09 pm
  • Updated:May 31, 2019 9:18 pm

সুকুমার সরকার, ঢাকা: মধ্যযুগীয় বর্বরতার নিদর্শন বাংলাদেশে। গ্রামের মাতব্বররা বিচার করে ধর্ষিতাকেই দোষী সাব্যস্ত করল। চাবুকপেটা করা হল তাকে। ঘটনাটি ঘটেছে নোয়াখালিতে। অভিযোগ, সেখানে একটি ফাঁকা বাড়িতে ১৪ বছরের এক কিশোরীকে এক মাস আটকে রেখে ধর্ষণ করেছে ওই বাড়ির পাহারাদার। বিষয়টি ফাঁস হওয়ার পর স্থানীয় মাদ্রাসার অধ্যক্ষ-সহ মাতব্বররা সালিশে মেয়েটিকেই দোষী সাব্যস্ত করে। ‘পাপমুক্ত’ করতে তাকে প্রায়শ্চিত্ত করানো হয়।

নির্যাতিতাকে চাবুক মেরে নাকে খত দেওয়ায় স্থানীয় মাদ্রাসার অধ্যক্ষ-সহ মাতব্বররা। এমনকী, ধর্ষিতা হয়ে সে ‘অপরাধ করেছে’, এই মর্মে সাদা কাগজে নেওয়া হয় সই। মধ্যযুগীয় এই ঘটনাটি ঘটেছে নোয়াখালির ফেনির ছাগলনাইয়ার মহামায়া ইউনিয়নের একটি গ্রামে। ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। সালিশকারীরা মেয়েটিকে দোষী সাব্যস্ত করে শাস্তি দেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।

Advertisement

[ আরও পড়ুন: ঢাকায় পুলিশ ভ্যানে হামলার ঘটনায় উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য ]

Advertisement

গ্রামবাসীরা জানান, ওই কিশোরীকে গ্রামের জাহাঙ্গীর চৌধুরীর বাড়ির পাহারাদার পাশের গ্রামের শফিক ওরফে কোকিল (৪০) প্রায় এক মাস আটকে রেখে নির্যাতন করে। জাহাঙ্গীর চৌধুরী সপরিবারে ঢাকায় থাকাতেন। ফাঁকা বাড়িতে শুধু শফিক থাকত। এ সুযোগে ওই কিশোরীকে বাড়ির একটি কক্ষে তালাবদ্ধ করে রাখে শফিক। এ সময়ে কিশোরীর পরিবার তাকে নানা জায়গায় খোঁজাখুঁজি করে। শফিক দীর্ঘদিন বাড়ি না যাওয়ায় গত শুক্রবার তার স্ত্রী চৌধুরীবাড়িতে উপস্থিত হয়। স্ত্রীকে দেখে শফিক পালিয়ে যায়। পরে এলাকাবাসী নির্যাতিতা মেয়েটিকে উদ্ধার করে।

প্রথমে মেয়ের পরিবার বিষয়টি গোপনে রাখার চেষ্টা করে। কিন্তু এলাকাবাসী ধর্ষকের শাস্তির দাবিতে চৌধুরীবাড়ি ঘেরাও করে। ওই দিনই এলাকার মসজিদ কমিটির সভাপতি কাশেম চৌধুরী, পশ্চিম দেবপুর ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ বিষয়টি নিয়ে সালিশে বসেন। এখানে নির্যাতিতার বাবাও উপস্থিত ছিলেন। সেখানে মেয়েকে অপরাধ স্বীকার করিয়ে সাদা কাগজে স্বাক্ষর নেওয়া হয়। ধর্ষিতা হওয়ার ‘অপরাধে’ তাকে নাকে খত দেওয়ানো হয়। খত দেওয়া অবস্থায় তাকে ২১ বার চাবুক মেরে প্রায়শ্চিত্ত করানো হয়। মেয়ের বাবা বলেন, “মেয়ের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে মেয়ের প্রায়শ্চিত্ত করিয়েছি।” ঘটনার পর মেয়েটিকে ঢাকায় এক আত্মীয়ের বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।

[ আরও পড়ুন: মোদির শপথ অনুষ্ঠানে নেই শেখ হাসিনা, যোগ দেবেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ