Advertisement
Advertisement
Dhaka

ঢাকার শহিদ মিনারে মানুষের ঢল, মাতৃভাষা দিবসে শ্রদ্ধা নিবেদন প্রধানমন্ত্রী হাসিনার

শ্রদ্ধা জানান বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মহম্মদ সাহাবুদ্দিন।

Sheikh Hasina pays tribute in International Mother Language Day at Dhaka। Sangbad Pratidin

শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মহম্মদ সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

Published by: Suchinta Pal Chowdhury
  • Posted:February 21, 2024 2:02 pm
  • Updated:February 21, 2024 2:02 pm

সুকুমার সরকার,ঢাকা: আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ও শহিদ দিবস উপলক্ষে একুশে ফেব্রুয়ারি ঢাকায় কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে মহান ভাষা শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মহম্মদ সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পুষ্পস্তবক অর্পণের পর তাঁরা কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে ভাষা আন্দোলনের শহিদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এই সময় অমর একুশের কালজয়ী গান ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি…’ বাজানো হয়। প্রথমে প্রধানমন্ত্রী শহিদ মিনারে এসে পৌঁছলে তাঁকে অভ্যর্থনা জানান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল। রাষ্ট্রপতি মহম্মদ সাহাবুদ্দিন মিনার প্রাঙ্গনে এলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও উপাচার্য তাঁকে অভ্যর্থনা জানান। 

[আরও পড়ুন: মাতৃভাষা দিবসের প্রাক্কালে সেজে উঠেছে বাংলাদেশ, ঢাকায় যান নিয়ন্ত্রণ পুলিশের]

এদিন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর পরে মন্ত্রিসভার সদস্য ও দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের সঙ্গে নিয়ে আওয়ামি লিগের সভাপতি শেখ হাসিনা দলের পক্ষ থেকে শহিদ মিনারে আরেকটি পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এর পর পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী ও ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু। তাঁদের পর প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে সুপ্রিম কোর্ট, হাইকোর্ট ও আপিল বিভাগের বিচারপতিরা শহিদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। 

Advertisement

পরে তিন বাহিনীর প্রধানেরা, পুলিশের মহাপরিদর্শক, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনার, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রধান, র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব), বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও শহিদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করে। এর পর সর্বস্তরের জনগণের জন্য শহিদ মিনার খুলে দেওয়া হয়। হাজার হাজার মানুষের ঢল নামে শ্রদ্ধা জানানোর জন্য। কালো ব্যাজ, কালো পতাকা ও ব্যানার নিয়ে সকলে এগিয়ে যান শহিদ মিনারের দিকে। অনেকের পোশাক ও সজ্জাতেও ছিল শোকের কালো রং।

Advertisement

[আরও পড়ুন: গৃহযুদ্ধে জ্বলছে মায়ানমার! আঁচ ভারত-বাংলাদেশেও, সতর্কবার্তা আমেরিকার]

এবার মহান শহিদ দিবসের ৭২তম বছর পূর্ণ হয়েছে। মাতৃভাষার জন্য জীবন উৎসর্গ করা বাংলা মায়ের বীর সন্তানরা অনন্য আত্মত্যাগ করেন। তাঁদের এই বলিদানের জন্য এই দিনটিকে রাষ্ট্রসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতিবিষয়ক সংস্থা ইউনেসকো ১৯৯৯ সালে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের স্বীকৃতি দেয়। তার পর থেকে প্রত্যেক বছর একুশে ফেব্রুয়ারি মাতৃভাষা নিয়ে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিনটি পালিত হচ্ছে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ