সংবাদ প্রতিদিন ব্যুরো: চলতি করোনা পরিস্থিতিতে কাজে গাফিলতি ও বিনা নোটিসে দিনের পর দিন কাজে যোগ না দেওয়ার অভিযোগে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজের (Bankura Sammilani Medical College) ২৬ জন হাউসস্টাফকে বরখাস্ত করা হল। বুধবার দুপুরেই তাঁদের হাতে বরখাস্তের চিঠি হাতে ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ পার্থপ্রতিম প্রধান।
অভিযোগ, করোনা পরিস্থিতিতে সরকারি হাসপাতালের মতো জরুরি পরিষেবায় গত প্রায় দু’মাস ধরে এই হাউসস্টাফরা ঠিকমতো কাজ করছিলেন না। বারবার তাঁদের সতর্ক করাও হয়েছিল। তারপরও চলতি মাসের প্রথম দিন থেকে এঁরা কেউ কাজে যোগ দেননি টানা তিনদিন। তারপরই তাঁদের বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। প্রতিবাদে পালটা আন্দোলনে নামার ইঙ্গিত দিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই হাউস স্টাফদের প্রতিনিধিরা।
ডিপার্টমেন্ট অনুযায়ী কাজ না দেওয়া এবং লাগাতার কোভিড ওয়ার্ডে কাজ করানোর অভিযোগ তুলে তাঁরা কর্তৃপক্ষের দিকেই আঙুলও তোলেন। করোনা সংক্রমণ ছড়ানোর এই কঠিন পরিস্থিতিতে চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে এই কড়া পদক্ষেপে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। বাঁকুড়া মেডিক্যালের ওই হাউস স্টাফদের একাংশ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তুলে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের লোকপুর ক্যাম্পাসের সামনে ইস্তফাপত্র হাতে নিয়ে বিক্ষোভ দেখান। যদিও তাঁদের এই গণইস্তফা দেওয়ার বিষয়ে অধ্যক্ষ পার্থবাবু বলেন, “যাঁরা ইস্তফা দিতে এসেছিলেন আমার কাছে, তাদেরকে আগেই ‘বরখাস্ত’ করা হয়েছে। তাই তাঁদের ইস্তফা দেওয়ার কোনও মানেই হয় না।” এবিষয়ে অধ্যক্ষ জানান, “২৫০ জন পিজিটি এবং প্রায় ১৫০ জনের মতো ইনটার্ন এবং সিনিয়র চিকিৎসক রয়েছেন। তাই চিকিৎসা ব্যবস্থা কোনওভাবেই ব্যাহত হবে না।”
[আরও পড়ুন: উপসর্গহীন করোনা আক্রান্তকে হোম আইসোলেশনে রাখায় আপত্তি, ৪ ঘণ্টা ঘেরাও চিকিৎসক]
অন্যদিকে, মেডিক্যাল কলেজ হাপাতালের মোট ৪৬ জন হাউস স্টাফের মধ্যে ২৬ জনকে বরখাস্ত করায় বাকিরা কাজে যোগ না দিয়ে বিক্ষোভ আন্দোলনে শামিল হলে ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অ্যাক্ট অনুযায়ী কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে সকলের বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, ইতিমধ্যেই রাজ্যের স্বাস্থ্য ভবনে বিষয়ে চিঠি দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং ইন্ডিয়ান মেডিক্যল কাউন্সিলেও জানানো হবে।” এদিকে, কোচবিহারের সিএমওএইচ সুমিত গঙ্গোপাধ্যায়কে সরিয়ে দেওয়া হয়। তার প্রতিবাদে স্বাস্থ্যকর্মীরা বিক্ষোভ দেখান।