Advertisement
Advertisement
অগ্নিকাণ্ড

দুই শিশুকন্যাকে নিয়ে আগুনে পুড়ে আত্মঘাতী বাবা-মা

মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী থাকল হুগলির ব্যান্ডেল।

3 members of a family burned to death in Hoogly's Bandel
Published by: Tanumoy Ghosal
  • Posted:March 28, 2019 1:13 pm
  • Updated:March 28, 2019 3:27 pm

তাপস মণ্ডল ও সন্দীপ মজুমদার:  ঘরে আগুন লাগিয়ে পরিবার সমেত আত্মহত্যা করলেন এক প্রৌঢ়। ঘরের ভিতরই পুড়ে মৃত্যু হল বাবা-মা ও দুই কন্যাসন্তানের। দগ্ধ অবস্থায় চারজনকে উদ্ধার করেন প্রতিবেশী ও পরিবারের লোকেরা। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া গেলেও বাঁচানো যায়নি কাউকে। বৃহস্পতিবার ভোরে মর্মান্তিক এই ঘটনায় বাকরুদ্ধ ব্যান্ডেলের দেবানন্দপুর এলাকার বাসিন্দারা। কী কারণে এই আত্মহত্যার ঘটনা ঘটল তা বুঝেই উঠতে পারছেন না এলাকার বাসিন্দারা।

[ আরও পড়ুন:বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, পুড়ে ছাই বনদপ্তরের কোয়ার্টার]

Advertisement

ব্যান্ডেলের দেবানন্দপুরের চন্দপুর এলাকার বাসিন্দাদের থেকে জানা যায়, আত্মহত্যার ঘটনাটি ঘটেছে শেখ সৌকত আলির বাড়িতে। বেশ কয়েকদিন ধরে ধরেই মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন তিনি। বুধবার রাতে স্ত্রী রেজিনা বিবি ও দুই মেয়ে আফরিন ইয়াসমিন ও আসিয়ানা খাতুনের সঙ্গে প্রতিদিনের মতো নিজের ঘরে ঘুমাতে যান তিনি। এদিন ভোরে হঠাৎ সৌকতের ঘর থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখেন তাঁর মা ও বউদি। একই বাড়িতে থাকেন তাঁরা। ধোঁয়া দেখতে আশপাশের বাসিন্দাদের ডাকেন।প্রতিবেশীরা এসে দেখেন সৌকতের ঘরের দরজা বন্ধ। অনেক ধাক্কাধাক্কি করার পর দরজা খোলে। কিন্তু তারপর প্রতিবেশীরা যা দেখেন তা খুবই ভয়াবহ। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, সৌকতের স্ত্রী রেজিনা আধপোড়া অবস্থায় এসে দরজা খোলেন। তাঁর শরীরে তখনও আগুন জ্বলছে। এই দৃশ্য দেখে আঁতকে ওঠেন সকলেই। দ্রুত তাঁকে উদ্ধার করেন এলাকাবাসী। ঘরে ঢুকে সৌকত-সহ তাঁর দুই শিশু কন্যাকেও উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চুঁচুড়া থানার পুলিশ জানিয়েছে, হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চারজনকেই মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, বিছানা থেকে ঘরে আগুন লেগেছিল। ঘরে তেলও পাওয়া গিয়েছে। যা দেখে পুলিশের অনুমান, বিছানায় তেল ঢেলে আগুন লাগানো হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মানসিক অবসাদের কারণে সৌকতের চিকিৎসাও চলছিল। অসংলগ্ন কাজকর্ম করছিলেন তিনি।

Advertisement

এদিকে বৃহস্পতিবার ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে হাওড়ায়ও। ভোরে আগুন লেগে যায় আমতার একটি গদি কারখানায়। আগুন এতটাই ভয়াবহ ছিল যে, তিন কিলোমিটার দূর থেকে লেলিহান শিখা দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। আগুন নেভানোর পর কারখানা থেকে একজনের দগ্ধ দেহ উদ্ধার করেন দমকল কর্মীরা। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, মৃত ব্যক্তি ওই কারখানারই কর্মী। রাতে কারখানায় ছিলেন তিনি।

[ আরও পড়ুন: বিজেপি কর্মীর ভাইকে গুলি করে খুন, প্রতিবাদে অবরোধ হরিশ্চন্দ্রপুরে]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ